অজানাকে জানবার অচেনা কে চেনবার ইচ্ছা আমাকে বরাবর তারা করে তাই কোন কিছু না ভেবে আজ বেরিয়ে পড়লাম। অনেক অনেক দিন বাড়িতে থাকতে থাকতে কেমন যেন জড়পদার্থ হয়ে গেছি তাই আজ ঘুম থেকে উঠেই ঠিক করি না আজ কোথাও একটা যাব যেমন ভাবা তেমনি কাজ ঠিক করলাম হাতের কাছে হারিপাল ওখানেই যাই কারন ওখানকার এক গ্রাম দারহাট্টা সেখানে এখন অনেক বড় কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তাই জায়গা ঠিক করে সকাল ৭.১০ সারথিকে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম গন্তবের দিকে। যেহেতু আমার ছাত্র জীবন কেটেছে হারিপাল গোপীনগর ও গুরুদয়াল স্কুলে তাই সেখানে অনেক নস্টালজিয়া জরিয়ে আছে আমার মনে। বাড়ি থেকে জাইগা টা যেতে আমার সময় লাগল মাত্র ১ ঘণ্টা মত।
১৬৭৭ এ জমিদার সিংহরায় পরিবারের তৈরি রাজ রাজেশ্বর বিষ্ণু মন্দিরটি হল আসল আকর্ষণ। এছাড়াও তিনটি শিব মন্দির ও দ্বারিকাচণ্ডীর মন্দির আর এক দর্শনীয় স্থান। পোড়ামাটির মন্দিরগুলি দ্বারহট্টকে একটি শান্তিপূর্ণ ও নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলে। এই জায়গাটির প্রধান আকর্ষণগুলি হ'ল এর পোড়ামাটির মন্দির। দেবীর নামে নাম হয়েছে গ্রামটির। তবে পুরানো মন্দির আজ আর নেই নতুন করে মন্দির গুলি হয়েছে ২০০৬ ও ২০০৮ গ্রামবাসীদের সহযোগিতা নিয়ে।
কি ভাবছেন এতো সুন্দর ছবির মত একটা গ্রামে একদিন থাকতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানে থাকার কোন ব্যাবস্থা নেই। আরে মন খারাপ করছেন কেন? না এত দিন এখানে থাকার কোন ব্যাবস্তা ছিল না ঠিকই তাই আমার আপনার সকলের কথা মাথাই রেখে এই গ্রামেরই ছেলে আমাদের সকলের প্রিয় প্রবীর সিনহা দা মানে আমাদের প্রবীর দা মানে সুন্দরবন গেটওয়ে রিসোর্ট এর কর্মকর্তা একটি অসাধ্য সাধনের কাজে লেগেছেন।একটি রিসোর্ট বানাছেন যেটি সম্পূর্ণ গাড়ির টায়ার ও মাটি দিয়ে তৈরি। প্রথমে শুনে বিশ্বাস করতে পারিনি নিজের কান কে তাই ছুটে গিয়েছিলাম সেই কর্মকাণ্ড দেখতে আজ সকালে। সত্যি কি সুন্দর চিন্তা ভাবনা মানে টায়ার দিয়ে রিসোর্ট এতো কল্পনাই করা কঠিন দাদা সেটা বাস্তবে তুলে ধরছে। না এখুনি চালু হয় নি কাজ চালু আছে হয়তো আগামী অল্প দিনের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। কথা দিলাম দারুন উপহার অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্য। আপনি চাইলেই এখান থেকে আরও একটি দর্শনীয় স্থান দেখে নিতে পারেন আঁটপুর মাত্র ৬ কিলোমিটার।
কিভাবে যাবেন্
কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ৫০ কিমি মতো। কলকাতা থেকে ডানকুনি হয়ে মশাট। ওখান থেকে গজাড়মোর হয়ে আসতে পারেন না হলে কলকাতা থেকে ডানকুনি হয়ে দুর্গাপুর রোড ধরে সিঙ্গুর হয়ে আসতে পারেন। সারা বছর আপনি এখানে আসতে পারেন কোন অসুবিধাই নেই।
থাকা খওয়া
বর্তমানে এখানে থাকার কোন জাইগা নেই তাই আপনি আসতে চাইলে ঘুরে চলে যেতে হবে। হয়তো কিছু মাসের মধ্যে থাকার রিসোর্ট টি হয়ে যাবে। খাবার জন্য আপনাকে কাছাকাছি হরিপালে বা গজাড়মোরে কিছু রেস্টুরেন্ট পাবেন।
ছবি ও লেখাঃ কলমে দেব........