কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরেও কিন্তু সেই জায়গাটির কোনও রকম চিরস্থায়ী স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখার ইচ্ছে আমাদের সবার। সেই কারণেই বিশ্বের, দেশের, রাজ্যের সব ডেস্টিনেশনে থেকেই স্যুভেনির বা স্মৃতিচিহ্ন কিনে আনা আমাদের এত প্রিয়। উল্লেখযোগ্য যে দেশীয় স্যুভেনির কিনলে আপনি শুধুই আপনার বাড়িকে সুন্দর করে তুলছেন বা আপনার ভ্রমণের স্মৃতিকেও তরতাজা করে তুলছেন তা নয়, ছোট ছোট গ্রামীণ কুটিরশিল্পীদের সরাসরি জীবনধারণে সাহায্য করছেন। জেনে নিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার কোথা থেকে কী কী কিনতে পারবেন এবং তার হদিশ...
দার্জিলিং
শৈলশহর দার্জিলিং থেকে আপনি কিনতে পারবেন নরম উলের শীতবস্ত্র। এছাড়াও আছে খাঁটি দার্জিলিং চা। পেয়ে যাবেন হোয়াইট মেটালের জুয়েলারি। আর পাবেন তিব্বতী থাঙ্কা, যা একধরনের তিব্বতী শিল্পনিদর্শন, কটন বা সিল্কের কাপড়ের উপর বৌদ্ধধর্মের বা বুদ্ধদেবের ছবি আঁকা।
জলপাইগুড়ি - কুচবিহার
বাঁশ এবং ছড়ির উপর নানান শিল্পকর্মের কাজ এখানে খুঁজে পাবেন। বিখ্যাত এই অঞ্চলের উডকারভিং বা স্টোনকারভিং, অর্থাৎ কাঠ বা পাথর কেটে তৈরি বিভিন্ন ঘর সাজানোর উপকরণ। কুচবিহারের শীতলপাটি এবং শোলাপিঠের কাজ সারা ভারতবর্ষে সমাদৃত।
উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর
দিনাজপুর অঞ্চলের ঢোকরার কাজ বিখ্যাত। ট্রাইবাল আর্টের মোটিফ দিয়ে তৈরি ঢোকরার কাজ গুলি বিখ্যাত পৃথিবী জুড়ে এবং বহু আন্তর্জাতিক শিল্প-প্রদর্শনীতে ঢোকরার কাজের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাঁকুড়া
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মধ্যে বাঁকুড়াতে পাওয়া যায় একগুচ্ছ শিল্পকর্মের নিদর্শন। বাঁকুড়ার শিল্পমেলাতে স্থানীয় শিল্পীরা নিয়ে আসেন হাতের কাজের বিভিন্ন সামগ্রী। তার মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য টেরাকোটার মূর্তি। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য বাঁকুড়ার বালুচরী শাড়ি।
পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর
বাঁকুড়ার মতোই মেদিনীপুরও কিন্তু সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। প্রায় সমস্ত রকম হাতের কাজের নিদর্শন আপনি খুঁজে পাবেন মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে। তার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য পটচিত্রের কাজ, যেখানে পটের উপর শিল্পীরা এঁকে ফুটিয়ে তোলেন গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য। এছাড়াও পাবেন জড়ি আর এমব্রয়ডারির কাজ, পিতলের মূর্তি, রূপো এবং ইমিটেশন জুয়েলারি নিয়ে কাজ।
পুরুলিয়ার
বাবুই ঘাসের মতন ন্যাচারাল ফাইবার দিয়ে আসন, মাদুর এবং পর্দা জাতীয় জিনিস তৈরি করার জন্যে পুরুলিয়ার শিল্পীরা বিখ্যাত। ল্যাক জাতীয় একধরনের উদ্ভিজ রেসিন দিয়ে হাতের চুরি বানানোর জন্যেও পুরুলিয়া সমাদৃত। প্রচন্ড ইউনিক এই জিনিস গুলো দিয়ে তৈরি খাঁটি আর শ্রেষ্ঠ মানের জিনিস কিনতে চাইলে আসতেই হবে পুরুলিয়া।
হাওড়া এবং হুগলী
গঙ্গা নদীর পাড় বরাবর হাওড়া এবং হুগলী জেলায় আপনি পেয়ে যাবেন চিকন এমব্রয়ডারি, জড়ি, বাটিক এবং কাঠ দিয়ে তৈরি নানা রকম আইটেম, কিন্তু এই জেলার বিশেষত্ব জড়িয়ে রয়েছে জুট বা পাটের তৈরি জিনিসের সাথে। জুট মিল গুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে গড়ে ওঠা কুটিরশিল্পীদের কাছে পাবেন জুটের তৈরি ব্যাগ এবং ঘর সাজানোর জিনিস।
কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং শিল্পের দিক থেকে এগিয়ে থাকার সুবাদে অন্যান্য জেলাগুলিতে উৎপাদিত নানান জিনিস এখানে সরবরাহিত করা হয়। তবে সেগুলি বাদ দিয়েও কলকাতার কাঁথা স্টিচের কাজ, কাগজ দিয়ে তৈরি হ্যান্ডিক্রাফটস এবং আর্টিস্টিক ভাবে তৈরি চামড়া বা লেদারের আইটেম গুলী খুবই জনপ্রিয়।
এছাড়াও পুরুলিয়া ও দিনাজপুরের মুখোশশিল্প, মেদিনীপুরের মাদুর এবং আসন, দীঘা অঞ্চলে শঙ্খের কাজ, নদীয়ার মাটির পুতুল এবং কলকাতার পিতলের উপর কাজ করা জিনিসগুলীও অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মতন।
দার্জিলিং
শৈলশহর দার্জিলিং থেকে আপনি কিনতে পারবেন নরম উলের শীতবস্ত্র। এছাড়াও আছে খাঁটি দার্জিলিং চা। পেয়ে যাবেন হোয়াইট মেটালের জুয়েলারি। আর পাবেন তিব্বতি থাঙ্কা, যা একধরনের তিব্বতি শিল্পনিদর্শন, কটন বা সিল্কের কাপড়ের উপর বৌদ্ধধর্মের বা বুদ্ধদেবের ছবি আঁকা।
জলপাইগুড়ি - কোচবিহার
বাঁশ এবং ছড়ির উপর নানান শিল্পকর্মের কাজ এখানে খুঁজে পাবেন। বিখ্যাত এই অঞ্চলের উডকারভিং বা স্টোনকারভিং, অর্থাৎ কাঠ বা পাথর কেটে তৈরি বিভিন্ন ঘর সাজানোর উপকরণ। কুচবিহারের শীতলপাটি এবং শোলাপিঠের কাজ সারা ভারতবর্ষে সমাদৃত।
উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর
দিনাজপুর অঞ্চলের ঢোকরার কাজ বিখ্যাত। ট্রাইবাল আর্টের মোটিফ দিয়ে তৈরি ডোকরার কাজ গুলি বিখ্যাত পৃথিবী জুড়ে এবং বহু আন্তর্জাতিক শিল্প-প্রদর্শনীতে ডোকরার কাজের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাঁকুড়া
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মধ্যে বাঁকুড়াতে পাওয়া যায় একগুচ্ছ শিল্পকর্মের নিদর্শন। বাঁকুড়ার শিল্পমেলাতে স্থানীয় শিল্পীরা নিয়ে আসেন হাতের কাজের বিভিন্ন সামগ্রী। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য টেরাকোটার মূর্তি, যার মধ্যে বাঁকুড়ার পুতুল ঘোড়া প্রায় প্রতীকী সদৃশ। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য বাঁকুড়ার বালুচরী শাড়ি।
পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর
বাঁকুড়ার মতোই মেদিনীপুরও কিন্তু সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। প্রায় সমস্ত রকম হাতের কাজের নিদর্শন আপনি খুঁজে পাবেন মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে। তার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য পটচিত্রের কাজ, যেখানে পটের উপর শিল্পীরা এঁকে ফুটিয়ে তোলেন গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য। এছাড়াও পাবেন জড়ি আর এমব্রয়ডারির কাজ, পিতলের মূর্তি, রূপো এবং ইমিটেশন জুয়েলারি নিয়ে কাজ।
পুরুলিয়ার
বাবুই ঘাসের মতো ন্যাচারাল ফাইবার দিয়ে আসন, মাদুর এবং পর্দা জাতীয় জিনিস তৈরি করার জন্যে পুরুলিয়ার শিল্পীরা বিখ্যাত। ল্যাক জাতীয় একধরনের উদ্ভিজ রেসিন দিয়ে হাতের চুরি বানানোর জন্যেও পুরুলিয়া সমাদৃত। প্রচন্ড ইউনিক এই জিনিসগুলো দিয়ে তৈরি খাঁটি আর শ্রেষ্ঠ মানের জিনিস কিনতে চাইলে আসতেই হবে পুরুলিয়া।
হাওড়া এবং হুগলি
গঙ্গা নদীর পাড় বরাবর হাওড়া এবং হুগলি জেলায় আপনি পেয়ে যাবেন চিকন এমব্রয়ডারি, জড়ি, বাটিক এবং কাঠ দিয়ে তৈরি নানা রকম আইটেম, কিন্তু এই জেলার বিশেষত্ব জড়িয়ে রয়েছে জুট বা পাটের তৈরি জিনিসের সাথে। জুট মিলগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে গড়ে ওঠা কুটিরশিল্পীদের কাছে পাবেন জুটের তৈরি ব্যাগ এবং ঘর সাজানোর জিনিস।
কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং শিল্পের দিক থেকে এগিয়ে থাকার সুবাদে অন্যান্য জেলাগুলিতে উৎপাদিত নানান জিনিস এখানে সরবরাহ করা হয়। তবে সেগুলি বাদ দিয়েও কলকাতার কাঁথা স্টিচের কাজ, কাগজ দিয়ে তৈরি হ্যান্ডিক্রাফটস এবং আর্টিস্টিক ভাবে তৈরি চামড়া বা লেদারের আইটেমগুলি খুবই জনপ্রিয়।
এছাড়াও পুরুলিয়া ও দিনাজপুরের মুখোশশিল্প, মেদিনীপুরের মাদুর এবং আসন, দীঘা অঞ্চলে শঙ্খের কাজ, নদীয়ার মাটির পুতুল এবং কলকাতার পিতলের উপর কাজ করা জিনিসগুলিও অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মতো।