বর্তমান দিনে স্টেকেশন বিষয়টি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাজেট সহায় থাকলে এবং দূরে কোথাও বেড়াতে যেতে না পারলে কলকাতার বিখ্যাত পাঁচ তারা হোটেল J W ম্যারিওট স্টেকেশনের প্ল্যান করে দেখতে পারেন। বিলাসবহুল হোটেলের আতিথেয়তার স্বাদটা কিন্তু এক্কেবারে অন্যরকম।
যে কোনও হোটেলই অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য বিশেষভাবে সজ্জিত থাকে। আর J W ম্যারিওটও নিজেদের সাজসজ্জার ক্ষেত্রে কোনও রকম কম্প্রোমাইজ করেনি। প্রথম দর্শনেই সুসজ্জিত ফোয়ারা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এছাড়াও আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে রাজকীয় চেয়ারের অবস্থান, অন সাইট ক্যাফে এগুলি সত্যি মুগ্ধ করে।
হোটেলের কক্ষ সম্পর্কে কিছু তথ্য - J W ম্যারিওট রাত্রিবাসের জন্য অনেক ধরণের কক্ষ রয়েছে।
১. ডিলাক্স কিং রুম - ৪২৮ বর্গ ফিট অঞ্চলে এই দুই শয্যাবিশিষ্ট কক্ষটি থেকে তিলোত্তমা কলকাতা শহরের রূপদর্শন করতে পারেন। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই কক্ষে ১টি কিং সাইজ শয্যা, সোফা, আইপড ডক, বাথটাব সহযোগে ওয়েস্টার্ন টয়লেট রয়েছে। এছাড়াও আধুনিক সুযোগ- সুবিধার সু-ব্যাবস্থা রয়েছে।
খরচ - ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার সহ রাত্রিবাসের খরচ - ৯০০০ + ট্যাক্স
২. এক্সেকিউটিভ কিং রুম - এই কক্ষটির বৈশিষ্ট্যটি হল এখান থেকে সরাসরি লৌঞ্জ - এ পৌঁছে যাওয়া যায়। শুধু তাই নয় এক্সেকিটিভ কিং রুমের পর্যটকদের জন্য কমপ্লিমেন্টারি ড্রিঙ্কসের ব্যবস্থা রয়েছে। হোটেলের ২৩নং তলায় অবস্থিত এই কক্ষটিতে ১টি কিং সাইজ বেড, সোফা, একজনের কাজ করার মতো চেয়ার টেবিল আছে । এছাড়াও সমস্ত রকম আধুনিক সুযোগ সুবিধা যেমন কফি মেকার, হেয়ার ড্রায়ার, শাওয়ারের ব্যাবস্থাও রয়েছে।
খরচ - ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার সহ রাত্রিবাসের খরচ - ১০,৫০০ + ট্যাক্স
৩. ডিলাক্স সুইট - ৬৪২ বর্গ ফিটের এই ডিলাক্স সুইটের বিশেষত্ব হল কক্ষগুলির সাথে আলাদাভাবে একটি লিভিং রুম রয়েছে । আপনি যদি কোনও ব্যবসা সংক্রান্ত কোনো মিটিং-এর পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এই কক্ষটি বেছে নিতে পারেন। কিং সাইজ বেড, সোফা ছাড়াও এই সুইটে রয়েছে টাচ স্ক্রিন কন্ট্রোল এবং অটোমেটেড কাটনের সুবিধা।
খরচ - ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার সহ রাত্রিবাসের খরচ -১৬,০০০ + ট্যাক্স
৪. এক্সেকিউটিভ সুইট - এই সুইটে আলাদাভাবে লিভিং রুম, ডাইনিং রুম ছাড়াও একটি মিটিং রুম রয়েছে। প্রায় ৮৫৬ বর্গ ফিট সুইটটি একটি কিং সাইজ বেড রুম, ফ্রিজ, ডাইনিং টেবিল সহযোগে সাজিয়ে তোলা হয়েছে । এছাড়াও ওয়েস্টার্ন টয়লেট, স্পা টাব, কাঁচের দরজা, ইত্যাদির ব্যাবস্থা আছে।
খরচ - ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার সহ রাত্রিবাসের খরচ - ২৩,৫০০ টাকা + ট্যাক্স।
রেস্টুরেন্ট এবং পাব
এই হোটেলে বেশ কিছু বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট রয়েছে -
১. J W কিচেন
এখানে রয়েছে ভারতীয় খাদ্যের নানান সম্ভার। স্থানীয় খাদ্যগুলি J W কিচেন থেকে টেস্ট করে দেখতে পারেন।
২. J W লৌঞ্চ
প্রিয়জনের সঙ্গে রোমান্টিক সময় কাটানোর জন্য J W লৌঞ্চ বেশ পরিচিতি। একটা সন্ধ্যা ওয়াইন, ককটেল কিংবা কফি ডেটের জন্য রাখলে মন্দ হবে না।
৩. ভিন্টেজ এশিয়া
৫ ষ্টার হোটেলের ৫ষ্টার খাদ্যের সম্ভার নিয়ে হাজির ভিন্টেজ এশিয়া। এখানে থাই এবং চাইনিজ খাবারের ব্যাবস্থাও রয়েছে।
৪. ইনফিনিটি পুল বার
এই পুল বারে বিভিন্ন ধরণের ড্রিঙ্কসের ব্যাবস্থা আছে।
৫. ম্যারিওট অন হুইলস
এখানে ভারতীয় খাদ্যরীতি ছাড়াও ইতালিয়ান খাদ্যের স্বাদ পেতে পারেন।
৬. গোল্ড
J W ম্যারিওটের বিখ্যাত নাইট ক্লাবটি হল গোল্ড। এখানে প্রায়ই DJ কিংবা লাইভ মিউজিকের আয়োজন করা হয়। এখানে মিউজিকের সঙ্গে রয়েছে ককটেল এবং স্ন্যাকস।
কী কী করবেন?
১. ৫ষ্টার হোটেলের বিলাসবহুলতাকে উপভোগ করুন।
২. এই হোটেলের খাবারগুলি কিন্তু বেশ সুস্বাদু, চেখে দেখতে পারেন।
৩. হোটেলের নিজস্ব জিম বা সুইমিং পুল রয়েছে। তাই স্টেকেশনের সাথে সাথে অনেকটা সময় শরীরচর্চার দিকে মনোসংযোগ করতে পারেন।
৪. হোটেলের স্পা থেকে আয়ুর্বেদিক ট্রিটমেন্ট কিংবা ম্যাসাজ করে রিল্যাক্স ফিল করতে পারেন।
৫. এছাড়া ও কলকাতা শহর পরিক্রমা করে নিন।
ঠিকানা - ৪ এ, জে. বি. এস হালদান এভিনিউ, কলকাতা, ৭০০১০৫
কীভাবে যাবেন?
বিমানে - ভারতের ছোট বড়ো শহর থেকে পৌঁছে যান কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি ভাড়া করে ১৬ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে পৌঁছে যান গন্তব্যে।
ট্রেনে - ভারতের যে কোনও স্থান থেকে পৌঁছে যান হাওড়া স্টেশন। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ৪৫ মিনিট দূরত্ব অতিক্রম করে পৌঁছে যান এই বিলাসবহুল ৫ষ্টার হোটেলে।