ভারতীয় সঙ্গীতের ধারা এক স্বতন্ত্র ধারা। এখানকার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখতে আজও দেশ বিদেশ থেকে মানুষ হাজির হন। আর শুধু শাস্ত্রীয় সঙ্গীতই বা কেন, টপ্পা, ঠুংরি, গজল, শ্যামাসংগীত থেকে শুরু করে আধুনিক গান সবকিছুই বড় মধুর। আর এই সঙ্গীত চর্চার ধারা যে আজকের নয় সেটা প্রাচীন ইতিহাস ঘাঁটলেই বোঝা যাবে। সঙ্গীত সম্রাট মিয়াঁ তানসেনের কাহিনি আমরা সবাই জানি। তিনি মেঘমল্লার গাইলে বৃষ্টি নামত আর দীপক রাগ গাইলে আগুন জ্বলে উঠত সে কথাও অজানা নয়। তবে সে সব হচ্ছে শিল্পীর উৎকর্ষের কাহিনি। ভারতে এরকম বহু মহল ও নাট্যমঞ্চ আছে যেখানে রীতিমতো ছিল আধুনিক সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা। অর্থাৎ সেখানকার দেওয়ালগুলো এমনভাবে তৈরি ছিল যে শিল্পী অনেক দূরে বসে গাইলেও সেটা সব জায়গায় শোনা যাবে! বিস্ময়কর তাই না? সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত এরকম আরও একটি বিস্ময়কর ব্যাপার হল মিউজিকাল পিলার্স বা স্তম্ভ।
নেল্লাইআপ্পার একটি শিবের মন্দির যা তামিল নাড়ুর তিরুনেলভেলিতে অবস্থিত। শিবের বাহন নন্দীর উদ্দেশ্যে এখানে রয়েছে নন্দী মণ্ডপম। আর এই নন্দী মণ্ডপমের কাছেই অবস্থিত মণি মণ্ডপম এই মন্দিরের বিস্ময়। এখানে রয়েছে বিশাল দুটি স্তম্ভ বা পিলার। এই স্তম্ভ দুটি একটি পাথর কেটে তৈরি হয়েছে। দুটি স্তম্ভেরই ৪৮ টি সাব পিলার আছে। যেগুলোর গায়ে হাত বোলালেই সঙ্গীতের ধ্বনি শোনা যায়। বলা হয় একেকটি স্তম্ভে শ্রুতি, গান, লয় ও তাল এইভাবে ভাগ করা আছে।
একই রকমের মিউজিকাল স্তম্ভ দেখা যায় কর্ণাটকের হাম্পির বিজয় ভিট্টল মন্দিরে। এখানে ৫৬ টি মিউজিকাল স্তম্ভ আছে। এগুলোকে সা, রে, গা, মা পিলারও বলা হয়। সপ্ত সুরের মধ্যে চারটি সুর হল সারেগামা। এই স্তম্ভে বুড়ো আঙুল ছোঁয়ালেই টুংটাং ঘণ্টা ধনির মতো শব্দ বেজে ওঠে। কিছু কিছু স্তম্ভে বাজনার আওয়াজও পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের দাবী এটা সম্ভবত হয় এই পিলার যে উপাদান দিয়ে তৈরি তার উপর নির্ভর করে।
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।