করোনার জেরে অনেকদিন ধরেই বাড়িতে বন্দি হয়ে আছি আমরা। প্রথম প্রথম এই পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা সময় পেয়ে বেশ ভালই লেগেছিল অনেকের। কিন্তু এখন অনেকেই হাঁপিয়ে উঠেছেন। কাঁহাতক আর বাড়িতে বসে থাকা যায়। একেক শহরের একেক ইউএসপি আছে তাই অনেকেই সেগুলো মিস করছেন ভীষণভাবে। কল্লোলিনী তিলোত্তমা কলকাতার রূপ আর সৌন্দর্যও তো কিছু কম নয়। এখন বাড়ি থেকে বেরনো মানেই অনেক বিধিনিষেধ। ভাইরাস খানিক দুর্বল হয়েছে বটে কিন্তু বিদায় নেয়নি এখনও। তাই সবকিছু ভারচুয়ালি হলে একটু আধটু স্মৃতিচারণই বা কেন ভারচুয়ালি হবে না। কলকাতার ঠিক কী কী মিস করছি আমরা দেখে নেব এক ঝলকে।
ফুচকা খাওয়া
কলকাতায় বোর বোর রেস্তরাঁ থাকলেও এখানকার স্ট্রিট ফুডের স্বাদ অতুলনীয়। যার মধ্যে পয়লা নম্বরে থাকবে এখানকার ফুচকা। লকডাউনের জেরে বেশীরভাগ ফুচকা বিক্রেতাই দেশে চলে গিয়েছেন। পুলিশের বিধিনিষেধ থাকায় তাঁরা ঠেলা নিয়ে বসতে পারছেন না। মিস করার লিস্টে তাই ফুচকাই থাকল প্রথমে।
শপিং
বন্ধ শপিং মল, খাঁ খাঁ করছে গড়িয়াহাট, দু একটা দোকানপাট খোলা থাকলেও উপচে পড়া ভিড় উধাও নিউ মার্কেটে। যারা কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন তাঁরা তো হেদিয়ে যাচ্ছেনই যারা খুব একটা কেনেন না কিন্তু ঘুরে ঘুরে এই দোকান সেই দোকান দেখতে ভালোবাসেন, শপিং মিস করছেন তাঁরাও।
কফি হাউজ টু কলেজ স্ট্রিট
অনলাইনে বই কেনা যায় ঠিকই, কিন্তু কলেজ স্ট্রিট হচ্ছে বইয়ের দেশ! সেখানে হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে কেনার মজাই আলাদা। বিশেষ করে যাঁদের পুরনো বই কেনার নেশা আছে তাঁরা বড়ই গুমরে মরছেন। কলেজ স্ট্রিটের সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে সব সময়ই থাকে কফি হাউজ, প্যারামাউন্ট ও পুঁটিরাম। মিস করা হচ্ছে সেগুলোও।
আড্ডা
বাঙালি কী খায়? ডাল, ভাত আর মাছের ঝোল আর শেষপাতে আড্ডা! হ্যাঁ নাহলে পেটের ভাত হজম কীভাবে হবে? এখন অবশ্য জুম, ঝুম হ্যানত্যান অনেক কিছু এসে গিয়েছে আড্ডা মারার জন্য। তবে সবাই মিলে একসঙ্গে বসে আড্ডা মারার যে মজা সেটা ভারচুয়ালি পাওয়া যায়না।
কাছেপিঠে বেড়ানো
শনিবারটা নমো নমো করে কাটিয়ে দিলেই রবিবার! আর তার আগে বা পরে এই ধরুন শুক্কুর বা সোমবারে কোনও মনীষীর জন্ম বা মৃত্যুদিন থাকলে তো পোয়াবারো। তাহলে টানা তিন চারদিনের ছুটিতে বেশ টুকটাক এদিক সেদিক ঘুরে আসা যেত। আপাতত সে গুড়ে বালি! অ্যালবাম খুলে পুরনো ছবিই দেখুন।
নিজেদের স্কুল, কলেজ, অফিস
লকডাউনে সবচেয়ে বেশী মনঃকষ্টে ভুগছে এরাই। অর্থাৎ স্কুল বা কলেজ পড়ুয়ারা। দীর্ঘদিন দেখা হচ্ছে না বন্ধুদের সঙ্গে। টিফিন শেয়ার থেকে শুরু করে আড্ডা, ঝগড়া, খুনসুটি সব ভ্যানিশ!
বইমেলা
এটা একেবারে লক্ষ্মণের শক্তিশেলের মতো বুকে গিয়ে বিঁধেছে বাঙালির। বইমেলা হবে না? হবে না বইমেলা? এই প্রশ্ন ফেসবুক থেকে শুরু করে অফিসের বোর্ড মিটিং পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। যদিও দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে ছোট করে একটা করা হয়েছিল। যাক সে কথা বা বলাই ভালো। শোনা যাচ্ছিল জুলাই মাসে একটা সম্ভাবনা আছে যদিও এখন তার সম্ভাবনা নেহাতই ক্ষীণ।
এই লকডাউনে আপনি ঠিক কী মিস করছেন? জানান আমাদের।
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।