করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বের সমস্ত শিল্পেই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে । ব্যবসা এবং অর্থনীতির ভীতকেও নড়বড়ে করে দিয়েছে করোনা ভাইরাস । স্বাভাবিকভাবে, পর্যটন শিল্প ও বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ভ্রমণস্থান ফুকেট =ও বাদ পড়েনি। গতবছর থেকে মহামারীর কারণে এই দেশের পর্যটন বিভাগ ভয়ংকর ক্ষতির মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে ।
থাইল্যান্ডের অন্যতম প্রধান পর্যটনশিল্পকে রক্ষা করার জন্য সম্প্রতি থাইল্যান্ড সরকার কর্তৃপক্ষ জুলাই মাস থেকে টিকাগ্রহণকারী আন্তর্জাতিক পর্যটকদের ফুকেট ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ।
সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, ট্যুরিজম অথরিটি অফ থাইল্যান্ড ঘোষণা করেছেন - সুরক্ষিত দেশের নাগরিকরা টিকাগ্রহণ করার পর সরাসরি ফুকেট পৌঁছনোর অনুমতি পেয়ে যাবেন । এক্ষেত্রে তাদের ৭দিনের নিভৃতবাসে থাকার ও প্রয়োজন হবে না । তবে শর্ত অনুযায়ী পর্যটকদের ৭দিন শুধুমাত্র ফুকেটেই ভ্রমণ করার অনুমতি থাকবে, থাইল্যান্ডের অন্যান্য স্থান ভ্রমণ করার জন্য ফুকেটে ৭দিন রাত্রিবাস করা অবশ্য প্রয়োজনীয়।
ট্যুরিসম কাউন্সিল অফ থাইল্যান্ড ( TCT) জানিয়েছেন, পর্যটন ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য পর্যটকরা হোটেল ভাড়া পেয়ে যাবেন মাত্র ১ডলারে ( ভারতীয় মুদ্রায় ৭২ টাকা )। অন্যান্য সময় এই হোটেলগুলিতে রাত্রিবাসের ভাড়া পড়ে ১০০০ থেকে ৩০০০ ভাট ( ভারতীয় মুদ্রায় ২৩২৮ - ৬৯৮৪ টাকা )। ইতিমধ্যে এই পরিকল্পনা সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য 'ওয়ান নাইট, ওয়ান ডলার' প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ট্যুরিসীম কাউন্সিল অফ থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।
TCT কর্তৃপক্ষ আরও জানান, যদি এই পরিকল্পনাটি ভবিষ্যতে সার্থকতা পায় তাহলে থাইল্যান্ডের অন্যান্য ভ্রমণস্থান কোহ সামুই এবং ব্যাংককে ও এই ধরণের পরিকল্পনা সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করা হবে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, এখনও পর্যন্ত থাইল্যান্ডে কোভিড -১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা ১.৭৭ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ১২৩৬ জন ।
মহামারী থেকে রক্ষার জন্য এবং পর্যটনের স্বার্থে এই আইল্যান্ডের নাগরিকদের ও টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । এখনও পর্যন্ত ৫০% মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে । তবে জুলাই মাসের মধ্যে অধিকাংশ নাগরিকের টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা চলছে ।
বর্তমানে থাইল্যান্ডের যে কোনো স্থান থেকে ফুকেট ভ্রমণ করার জন্য টিকাকরণ আব্যশিক করা হয়েছে। কমপক্ষে অ্যাস্ট্রাযেনেকা টিকার একটি ডোজ নেওয়া থাকলেই ফুকেট ভ্রমণের অনুমতি পাওয়া যাবে । এছাড়াও করোনায় আক্রান্ত মানুষ, সুস্থ হওয়ার ৯০দিনের মধ্যে ও ফুকেট ভ্রমণ করতে পারেন। যদি থাইল্যান্ডের নাগরিকরা এর মধ্যে কোনো শর্তের অন্তর্ভূক্ত না হন, তাহলে ফুকেট ভ্রমণের ৭দিন আগের করোনা ভাইরাসের নেগেটিভ রিপোর্টের প্রয়োজন হবে ।
এই মুহুর্তে বিশ্বের দরবারে থাইল্যান্ডের এই পরিকল্পনাটি কতটা বাস্তবায়িত হবে, থাইল্যান্ড সরকার কর্তৃপক্ষ তারই অপেক্ষায় দিন গুনছেন ।