একটু রহস্য সন্ধানে অভিজ্ঞতা অর্জনকারী ব্যক্তিরা কিন্তু সমুদ্র, পাহাড়ের থেকেও জঙ্গল ভ্রমণ করতে বেশি ভালোবাসেন। বিভিন্ন রকম উদ্ভিদ, জীবজন্তু, নানা প্রজাতির পতঙ্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের নিয়ে লেখালেখি করতে অনেকে পছন্দ করেন। তাই সেই সমস্ত অরণ্যপ্রেমী মানুষদের জন্য ভারতবর্ষের প্রধান প্রধান দশটি অরণ্য বা উদ্যানের নাম-ঠিকানা তুলে ধরা হল। একবার মিলিয়ে নিন আপনার ভ্রমণ তালিকায় এখনও কোন কোনগুলো যুক্ত হতে বাকি রয়েছে।
গুজরাটের সোমনাথ মন্দির থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং জুনাগড় থেকে ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে এবং আমরেলী থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এই অভয়ারণ্যটি অবস্থিত। এই অভয়ারণ্যে প্রচুর সিংহ দেখতে পাওয়া যায়।
নীলগিরি মালভূমি চারপাশে মালার মত একটি অবস্থান করেছে। নিরক্ষীয় আবহাওয়া এবং নীলগিরি মালভূমি পাহাড়ের ঠান্ডা হাওয়া এই অঞ্চলে প্রজাতিগত বৈচিত্র সৃষ্টি করেছে।
গঙ্গা মেঘনা ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ অঞ্চল সুন্দরবন। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ৬ই ডিসেম্বর ইউনেস্কো থেকে সুন্দরবনকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির, বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান মেলে এই সুন্দরবনে।
কর্নাটকের পশ্চিম প্রান্তে মহীশূর এবং কডাগু জেলার সীমানায় অবস্থিত পাহাড়ের নীচে এই জাতীয় উদ্যানটির অবস্থান। নাগারহোল জাতীয় উদ্যানের মধ্যে যে নদীটি বয়ে গেছে সেটি দেখতে অনেকটা সাপের মত বাঁকা। তাই একে স্নেক রিভার বলা হয়। এখানে বিভিন্ন রকমের চিতাবাঘ, লেপার্ড, নাহরফুটুকি দেখতে পাওয়া যায়। তাই জন্য এটি ভারতবর্ষের অন্যতম ব্যাঘ্র প্রকল্প উদ্যান হিসেবে পরিচিত।
অরুণাচল প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১৯৮৫ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এই জাতীয় উদ্যান টি অবস্থিত। এখানে ১ হাজারেরও বেশি রকমের ফুল এবং প্রায় ১৪০০ দেশি প্রজাতির প্রাণী দেখতে পাওয়া যায় সেইজন্য হিমালয়ের পূর্বাঞ্চল অংশের এটি জীব বৈচিত্রের হটস্পট হিসেবে ধরা হয়। এটি ভারতবর্ষের চতুর্থ বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান হিসেবে স্বীকৃত।
১৯৩৬ একটি বিপন্ন বাঘকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য এই উদ্যানটিকে জাতীয় উদ্যান স্বীকৃতি পায়। এটি ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাচীন জাতীয় উদ্যান।
মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট ও মান্ডালার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে এই জাতীয় উদ্যানটি অবস্থিত। এখানে ১৩০টিরও বেশি বাঘ রয়েছে।
মনিপুরে অবস্থিত এই জাতীয় উদ্যান টি পৃথিবীর একমাত্র ভাসমান উদ্যান। এটি মনিপুরের বিষ্ণুপুরের লোকটাক হ্রদ। বর্তমানে এখানে সাংঘাই সিংহ, ২৩৩টির বেশী জলজ উদ্ভিদ, প্রায় ১০০টি প্রজাতির পাখি, ৪২৫টির বেশি প্রজাতির পশু রয়েছে।
প্রাচীনকাল থেকেই এই জায়গাটি ঐতিহ্যবাহী একটি ধর্মীয় অনুমোদন দ্বারা স্বীকৃত। মাওফলাং পবিত্র অরণ্যটি শিলং থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন ধরনের অর্কিড, ফুলের গাছ এবং বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতি দেখতে পাওয়া যায়।
চেন্নাই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অরণ্য টি অবস্থিত। এটি মাদ্রাজ চিড়িয়াখানার অন্তর্ভুক্ত। এই অরণ্যের মধ্যে নিজস্ব ছুটি কাটানোর ব্যবস্থা রয়েছে।