পৌরাণিক কাহিনি থেকে শুরু করে প্রেমের দৃশ্য, কৌতুক হাস্যরসাত্মক নাটক, দেশপ্রেম জাতীয় চলচ্চিত্র সবই প্রায় ৯০-এর দশকের সিনেমায় খুঁজে পাওয়া যায়। গল্প, চরিত্র, বৃত্ত, আবেগ সব দিয়ে গড়ে ওঠা এই চলচ্চিত্রগুলি কিন্তু বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল দর্শকের মনে। শুধু তাই নয়, অভিনেতাদের দুর্দান্ত অভিনয়ের পাশাপাশি দেশ ও বিদেশের কিছু বিখ্যাত জায়গার অপরূপ সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়েছে সিনেমাগুলোতে। আর এই জন্য বিশ্বজুড়ে শ্রোতাদের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে সমস্ত চলচ্চিত্রগুলি।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, সিমলা অঞ্চলে বরফের মধ্যে সানি দেওয়ালের সেই উন্মাদনা সম্পন্ন নাচ অথবা সুইজারল্যান্ডে শাহরুখ খানের সিগনেচার পোজ সব কিছুই কিন্তু দর্শকমন্ডলীকে এখনও আকর্ষণ করে চলেছে।
ঠিক এইরকমই কিছু আকর্ষণীয় দর্শনীয় জায়গার ঠিকানা পেতে পারেন নিম্নলিখিত চলচ্চিত্রগুলিরমাধ্যমে। কী বলা যায় হয়তো আপনার পরবর্তী গন্তব্যস্থান এগুলোর মধ্যে একটি হতেই পারে।
৯০ দশকের সিনেমার কথা বলা হবে, অথচ ডিডিএলজি কথা উঠবে না তা কখনও হয়? প্রত্যেক জেনারেশনের কাছে প্রিয় ভালবাসার এই চলচ্চিত্রটির শুটিং হয় সুইজারল্যান্ড এবং পাঞ্জাবে, যে দুটি জায়গায় পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয়। এই চলচ্চিত্রে দুটি প্রধান গানের মধ্যে কাবো আও, কাবো আও গানটি সোনালি রঙের শস্য ক্ষেতের মধ্যে শুটিং করা হয় আর অন্য একটি জনপ্রিয় গান যারা সা ঝুম লু ম্যায় শুটিং হয়েছিল পশ্চিম সুইজারল্যান্ডের গেস্টর্ড-এ।
জনপ্রিয় পরিচালক গুলজারের বিখ্যাত সিনেমা মাচিস একটি জনপ্রিয় গান চাপা চাপা চরখা চলে হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চল মানালিতে শুটিং করা হয়েছিল।
সালমান খান অভিনীত মেনে প্যায়ার কিয়া সিনেমাটি তামিলনাড়ু উটিতে শুটিং করা হয়। উটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বাগান এবং নদীর উপত্যকায় মাঝখানে এই সিনেমার একটি বিখ্যাত গান দিল দিবানা বিন সাজনা কে মানে না শুটিং করা হয়।
৯০ দশকের চলচ্চিত্র প্রেমীদের মনে রাজেশ এবং পূজা প্রেম এবং নিশার বিয়ের কাহিনি নিয়ে গড়ে ওঠা এই সিনেমা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সিনেমার গান, অভিনেতা-অভিনেত্রী, গল্প এবং চরিত্রগুলিকে নিয়ে আজও এই চলচ্চিত্র রয়ে গেছে তার নিজস্ব গরিমায়। এই চলচ্চিত্রের একটি জনপ্রিয় গান ইয়ে মসম কা জাদু- র শুটিং হয় তামিলনাড়ুর কোন্নুর চা বাগানে।
এই চলচ্চিত্রের একটি জনপ্রিয় গান পেহেলা নেশা-র স্ক্রিপ্টটি তৈরি হয় দেরাদুনে এবং এটি শুটিং হয় দক্ষিণ ভারতের কদাইকানাল এবং উটিতে ।
বর্তমান যুগের ধ্রুপদী ক্লাসিকের উপর ভিত্তি করে যেমন এই সিনেমাটি তৈরি হয়েছিল, ঠিক সেইভাবেই এটি সেই সময়ের ব্লকবাস্টারে সেরা চলচ্চিত্রের সম্মান পায়।
১৯৯৮ সালে তৈরি হওয়ার রোমান্টিক থ্রিলার ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র দিল সে তখনকার দিনে আন্তর্জাতিক সীমানা ছাড়িয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছায়। এই চলচ্চিত্রের কিছু জনপ্রিয় অংশ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শ্যুটিং করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম সাত রংগি রে গানটি অথিরাপল্লি জলপ্রপাতের নিচে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল। জিয়া জ্বেলে গানটি কেরালায় শুট করা হয়। অন্যদিকে আরেকটি জনপ্রিয় গান ছাইয়া ছাইয়া তামিলনাড়ুর উটির নীলগিরি এক্সপ্রেস শুটিং করা হয়।
বানসালির ত্রিকোণ প্রেমের গল্প নিয়ে তৈরি বিতর্কিত গুজবের জড়িয়ে পড়া এই চলচ্চিত্রটি শুটিং করা হয় বিশ্বের বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর জায়গায়। সিনেমাটির প্রথম অংশটি শুটিং হয় গুজরাট এবং রাজস্থানে এবং দ্বিতীয় অংশটি শুটিং আপাতদৃষ্টিতে ইতালি দেখানো হলেও, এটি হুঙ্গারি, বুদাপিস্ট-এও শুটিং করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয় চলচ্চিত্রের শেষে অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে স্যাচেন্যায় চেন ব্রিজ দেখতে পাওয়া যায়।
১৯৯৯ সালে বাণিজ্যিকভাবে সমালোচিত এবং প্রশংসিত হয়েছিল ভাস্তব সিনেমাটি, মুম্বাই আন্ডারওয়ার্ল্ডের কাহিনী নিয়ে রচিত হয়েছে, যা মুম্বই থেকে সুইজারল্যান্ড পর্যন্ত তার মূল বিস্তার ছিল। শুধু তাই নয় এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সঞ্জয় দত্ত পেয়েছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা হিসাবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। চলচ্চিত্রটি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শুটিং হয়। তার মধ্যে কিছু শুটিং হয় মুম্বাইতে আর কিছু অংশের মধ্যে মেরি দুনিয়া হে গানটির শুটিং হয় সুইজারল্যান্ডের থুন-এ।
এই চলচ্চিত্র দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় শুটিং করা হয়। তার মধ্যে এই সিনেমার গানের কিছু অংশ উত্তরপ্রদেশ থেকে ইউএসএ-তে শুটিং হয়।এছাড়াও এই চলচ্চিত্রের বিখ্যাত গান দিল দিবানা-র শুটিং হয় কানাডার এলেক্স ফ্রাসের ব্রিজে। শুধু তাই নয়, এছাড়াও এই সিনেমায় লাস ভেগাস, ঋষিকেশ, আগ্রার তাজমহল, মাইসোর বিভিন্ন জায়গার কিছু কিছু অংশ দেখানো হয়েছে।