শহর কলকাতা আমাদের বড্ড প্রিয়। সত্যিই তো, এই শহর জানে আমার প্রথম সবকিছু। আমাদের ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার প্রতিটি মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে থেকেছে তিলোত্তমা। কেমন হত, যদি আপনিও দেখতে পেতেন সময়ের তালে তালে এই শহরের বড় হয়ে ওঠা? তাই রইল কলকাতার একাল ও সেকালের কিছু ছবি, যা শহরের ইতিহাস আর বিবর্তনকে ফুটিয়ে তোলে, আর নিয়ে যায় ভবিষ্যতের দিকে। দেখে নিই, কেমন ছিল, কেমন আছে, শহর কলকাতা।
কলকাতা শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র, যা হয়ে উঠেছে শহরের এক আইকনিক পরিচয়। স্বাগত জানায় আপনাকে তিলোত্তমার পথে।
ব্রিটিশ কলকাতার অভিজাত পাড়ার শিরোমণি ছিল এস্প্ল্যানেড। গ্র্যান্ড হোটেল, মেট্রো সিনেমা, সব মিলিয়ে যে কোনও ইউরোপীয় শহরের প্রতিমূর্তি।
কলকাতার নাইটলাইফের ধারক ও বাহক। ব্রিটিশ আমলেই হোক বা এখন, পার্ক স্ট্রিট কলকাতার পার্টি ক্যাপিটাল।
উত্তর কলকাতার শ্যমবাজরের ৫ মাথার মোড় সদা ব্যস্ত এবং শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্র।
ব্রিটিশ আর্কিটেকচারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কলকাতার জি.পি.ও। ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে এখানে প্রথম চালু হয় ডাকব্যবস্থার হেড কোয়ার্টার।
রানী রাসমণি এবং শ্রী রামকৃষ্ণ-এর স্মৃতি বিজড়িত দক্ষিনেশ্বরের কালী মন্দির শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মস্থান।
দেশ বিদেশ থেকে বহু মানুষ আসেন প্রতিদিন কালীঘাটের মন্দিরে পূজা দেওয়ার জন্যে।
ইডেন গার্ডেনের যখন পথ চলা শুরু, ভিতরে ছিল না ক্রিকেট গ্রাউন্ডস, ছিল শুধুই উদ্যান। কিন্তু ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দেই স্থাপিত হয়েছিল খেলার মাঠটিও।
কলকাতার ফুসফুস বলতে আজও আমরা বুঝি ময়দানকেই। গ্রীষ্মের ভোর হোক বা শীতের দুপুর, এক ঝাঁক সবুজের আস্তানা আমাদের ময়দানে।
ব্যস্ত নিউ মার্কেট এককালে পরিচিত ছিল হগ সাহেবের বাজার নামে, পুরনো কলকাতার সুপারমার্কেট বলতে যা বোঝায়, তাই। আজও নিউ মার্কেটের খ্যাতি দেশ জুড়ে।
কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং স্থাপত্যকলার দিক দিয়ে অত্যন্ত সুন্দর সেন্ট পলস ক্যাথেড্রাল শহরের স্কাইলাইনে আলাদা মাত্রা যোগ করে।
ভারতীয় রেলব্যবস্থার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র যা পুরো দেশের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় রেখেছে কয়েক শতাব্দী ধরে।
কলকাতার অপর সুপ্রাচীন রেলস্টেশন, যা উত্তরবঙ্গ যাওয়ার জন্যে সব বাঙালির মুশকিল আসান। বাংলাদেশ যাওয়ার ট্রেন চালু হয়েছিল প্রথম শিয়ালদহ থেকেই।
১৭৫০ খ্রিস্টাব্দের অল্প কিছুকালের মধ্যে শোভারাম বসাক তৈরি করিয়েছিলেন জগন্নাথ ঘাট, হুগলির পূর্ব পারে, বর্তমান হাওড়া ব্রিজের উত্তরে।
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন: কলকাতার সেরা রেস্তোরাঁ, বিজ্ঞান শহর কলকাতা