
ভারতবর্ষের করোনা পরিস্থিতির আবহে পর্যটন শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং শক্তিশালী করে তুলতে ‘মন কী বাত’-এর ৭৫ তম পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পর্যালোচনা করেছেন। রবিবার নরেন্দ্র মোদী তাঁর বক্তব্যের মধ্যে এই শিল্পের খাতকে আরও উন্নতশীল প্রক্রিয়া রূপদানের কথা বলেছেন। তাঁর মতে লাইটহাউস বা বাতিঘরগুলি হল পর্যটন শিল্পের ‘এক অনন্য দিক’, যা দেশের বিভিন্ন জায়গাগুলির প্রচারের লক্ষ্য হিসেবে কাজ করবে। তিনি আরও বলেছেন ভারতবর্ষের পর্যটন শিল্পকে প্রসারের জন্য সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ৭১টি লাইটহাউস বা বাতিঘরকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই মাসের শুরুর দিকে ‘মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটে’ একটি বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এই লাইটহাউসগুলির নিকটে অবস্থিত কমপ্লেক্সগুলির দিকে দৃষ্টি দান করেছেন এবং পর্যটন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সেগুলির সুবিধা সম্বন্ধে আলোচনা করেছেন। উল্লেখ্য, চেন্নাইয়ের বাসিন্দা গুরুপ্রসাদ তামিলনাড়ুর লাইটহাউস বা বাতিঘরগুলি ভ্রমণ করার সময় তার তোলা চিত্রগুলিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে পরিবেশন করেছেন এবং প্রত্যেককে সেই স্থানে ভ্রমণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব প্রদান করার জন্য তিনি তাকে একান্ত ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
‘মন কী বাত’-এর একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের ঝিনঝুভাডা শহরে অবস্থিত ‘এক অনন্য’ লাইটহাউস বা বাতিঘরের কথা বলেছেন। এই লাইটহাউসটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এটি উপকূলবর্তী রেখা জুড়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার লম্বা। উপকূলবর্তী রেখাটি আগে ঝিনঝুভাডা পর্যন্ত ছিল।
এছাড়াও তিনি এই সমস্ত লাইটহাউসের রক্ষণাবেক্ষণকারী নিরাপত্তারক্ষীদের সম্বন্ধে বেশ কিছু কথা বলেছে। তাদের কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং নিরলসভাবে তাদের দায়িত্ব পালনের প্রশংসা করেছেন। ২০১৪ সালের ভারত মহাসাগরে সুনামির সময় যে সমস্ত লাইটহাউসের নিরাপত্তারক্ষীরা মারা গিয়েছিলেন তাদের কথা স্মরণ করেছেন।
মোদি নরেন্দ্র মোদী-র কথায় স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, তিনি বলেছেন- ‘মন কী বাত’ সিরিজের একাধিক পর্বে পর্যটনের বিভিন্ন দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তবে পর্যটকদের দিক থেকে দেখা গেলে লাইটহাউজের গুরুত্ব অপরিসীম। লাইটহাউসগুলো সবসময় তাদের কাছে এক অত্যন্ত আকর্ষনীয় কেন্দ্রস্থল হয়ে নজর কেড়েছে। পর্যটন প্রচারের জন্য সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ৭১ টি লাইটহাউসকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
লাইটহাউসগুলিতে সেখানকার জায়গার ক্ষমতা অনুযায়ী জাদুঘর, অ্যাম্ফিথিয়েটার, ওপেন-এয়ার থিয়েটার, ক্যাফেটেরিয়া, শিশু উদ্যান, বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব সমন্বয়ে গঠিত কটেজ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তুত করা হবে, যাতে পর্যটকরা এখানে এসে সমানভাবে তাদের মনোরঞ্জন করতে পারে।