
স্বচক্ষে ড্রাগন দেখতে চান? হ্যাঁ, তাহলে ড্রাগন বংশের শেষ অধিবাসীদের দেখতে আর ইন্দোনেশিয়া ছুটে যেতে হবে না। ভারতবর্ষের মাটিতেই নিজের চোখে দেখতে পাবেন ড্রাগন বংশের শেষ বংশধর কোমোডো ড্রাগনদের। আম্বানিরা ঘোষণা করেছেন এই ড্রাগন দেখতে পাওয়া যাবে ভারতবর্ষের বৃহত্তম চিড়িয়াখানায়, যা তৈরি হতে চলেছে গুজরাট রাজ্যে।
ড্রাগনের অস্তিত্ব কি সত্যি আছে?
আমরা কি মনে করি ড্রাগনরা আর বেঁচে নেই? তাহলে ব্যাপারটা আরেকবার ভেবে দেখতে হচ্ছে কিন্তু। ড্রাগনরা কিন্তু এখনও আমাদের পৃথিবীতেই রয়েছে। তবে হ্যাঁ, গল্পের মতো তারা আকাশে উড়ে বেড়ায় না বা তাদের নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে আসে না আগুনের হল্কা। কিন্তু চেহারার দিক থেকে তারা প্রায় ১০ ফুট লম্বা, ওজন প্রায় ১৫০ কেজি, আর কল্পজগতের ড্রাগনের সঙ্গে সবথেকে বেশি দৈহিক সাদৃশ্য বজায় রাখে। তাদের ডাকা হয় কোমোডো ড্রাগন নামে। আর এতদিন পর্যন্ত তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থানে দেখতে হলে আপনাকে যেতে হত সুদূর ইন্দোনেশীয় দ্বীপপুঞ্জে। তবে শীঘ্রই তাতে বদল আসতে চলেছে।
বন্য এই অরণ্য
গুজরাটের জামনগরে ২৮০ একর জমির উপর এই চিড়িয়াখানার নির্মাণ হবে এবং জনসাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হবে ২০২৩ সাল নাগাদ। কোমোডো ড্রাগন ছাড়াও দেখা পাওয়া যাবে আফ্রিকান সিংহ, পিগমি হিপো, ওরাং ওটাং, লেমুর, ফিশিং ক্যাট, শ্লথ বিয়ার, চিতাবাঘ, জাগুয়ার, ভারতীয় নেকড়ে, এশীয় সিংহ, বেঙ্গল টাইগার, মালয় টাপির, গরিলা, জেব্রা, জিরাফ, আফ্রিকান হাতি এবং অন্যান্য।
"গ্রিনস জুলজিকাল রেসকিউ এন্ড রিহাবিলিটেশন কিংডম" প্রজেক্টের ছত্রছায়ায় নির্মীয়মান এই চিড়িয়াখানায় থাকবে পৃথিবীর নানা দেশের পশুপাখি। তাদেরকে রাখা হবে চিড়িয়াখানার নানান বিভাগে, যথা ইঁদুরদের দেশ (ল্যান্ড অফ রোডেন্টস), সমুদ্রজগত (আকোয়াটিক কিংডম), ভারতীয় জঙ্গল, ব্যাঙ বাড়ী(ফ্রগ হাউস), ড্রাগনের জগৎ (ড্রাগন্স ল্যান্ড), পতঙ্গালয়, ভারতীয় মরুভূমি, পশ্চিম উপকূলের জলাভূমি এবং এক্সটিক দ্বীপপুঞ্জ।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারি সাহায্যে গঠিত হচ্ছে একটি পশুপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্র।
মুকেশ আম্বানির নিজস্ব উদ্যোগের ফলে এই চিড়িয়াখানা তৈরির পিছনে ইতিমধ্যেই জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছে আকর্ষণ এবং উত্তেজনা। মনে করা হচ্ছে গুজরাট এবং গুজরাট ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে এই চিড়িয়াখানা বেশ বড়সড় প্রভাব ফেলবে। আপনিও কি যাবেন নাকি, এই ড্রাগনের দেশে?