বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং তাদের সঠিক পরিচর্যার বার্তা...

Tripoto
Photo of বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং তাদের সঠিক পরিচর্যার বার্তা... 1/3 by Deya Das
বন্যহাতির যথাযথ সংরক্ষণ করতে হবে (ছবি সংগৃহীত)

‘বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’

Photo of বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং তাদের সঠিক পরিচর্যার বার্তা... 2/3 by Deya Das
ছবি সংগৃহীত

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এই বিখ্যাত উক্তিটির সঙ্গে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। অর্থাৎ বন্যপ্রাণীরা সর্বদাই বনের শোভাবর্ধন করে। কিন্তু আজ এই বন্য প্রাণীদের অস্তিত্ব সংকটময়। আর এই সংকটজনক পরিস্থিতি দূর করার জন্য ২০১৩ সালের ২০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ৩রা মার্চ “বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস” হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। জাতিসংঘের ছয়টি ভাষায় যথা-আরবি, চিনা, ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, রাশিয়ান এবং স্প্যানিশ এই বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের সরকারি লোগো তৈরি করা হয়েছে।

কারণসমূহ:-

পৃথিবীকে যান্ত্রিক আধুনিকতার ছোঁয়া যত স্পর্শ করছে, মানুষের চাহিদা ততোধিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা সকলে নিজের নিজের স্বার্থ অনুযায়ী বনজ সম্পদকে ধ্বংস করার কাজে উদ্যত হয়েছি। আর এর ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্যপ্রাণীরা। এরা যে শুধু নিজেদের বাসস্থানই হারাচ্ছে তা নয়, এর সঙ্গে তারা চরম খাদ্য সংকটে মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ তারা লোকালয়ে প্রবেশ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলত, সেই সমস্ত বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ের বাসিন্দাদের হাতে বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে বনভূমির সংখ্যা এতই সীমিতপ্রায় অবস্থায় রয়েছে যে, বন্যপ্রাণীরা অজান্তেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বনের বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে বন্যপ্রাণীরা আজ কিছুটা হলেও বিলুপ্তির পথে। তাই এই বিশ্বকে বাঁচিয়ে রাখতে মানুষের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীদের সমানভাবে মর্যাদা দিতে এবং তাদের সংরক্ষণ করার জন্য আজকের এই দিনটি পালন করা অত্যন্ত জরুরি।

বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের মূল বিষয় ভাবনা:-

প্রতিবছর এই দিনটি পালনের জন্য একটি করে প্রতিপাদ্য বিষয় নির্বাচন করা হয়। এই বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের বিষয়টি হল- ‘বন ও জীবিকা: মানুষ ও পৃথিবী বাঁচানো।’

২০২০সালে এই বিষয়টি ছিল- 'পৃথিবীতে সমস্ত জীবন বজায় রাখা।’

২০১৯ সালে ছিল- ‘মানুষ ও পৃথিবীর জন্য জলজ প্রাণী।’

২০১৮ সালের থিম ছিল- ‘ চিতাবাঘ শিকারির হুমকির শিকার।’

২০১৭ সালে ছিল- 'তরুণের কণ্ঠস্বর শুনুন।’

২০১৬ সালের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- ‘বন্যপ্রাণীদের ভবিষ্যৎ আমাদের হাতে’ এবং এর সঙ্গে আরও একটি উপ-প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- ‘হাতিদের ভবিষ্যতও আমাদের হাতে রয়েছে।’

২০১৫ সালের বিষয়টি ছিল- ‘বন্যজীবন সম্পর্কে সচেতন হওয়ার এটি আদর্শ সময়।’

Photo of বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং তাদের সঠিক পরিচর্যার বার্তা... 3/3 by Deya Das
বন্যপ্রাণীদের বিচরণ ক্ষেত্র (ছবি সংগৃহীত)

এই দিনটি সম্পর্কে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য :-

বন্যপ্রাণ ও গাছ বাঁচানোর জন্য উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু টুইট করে বলেছেন, “বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে আমাদের সবাইকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের চেষ্টা শুরু করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।” আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তাঁর বক্তব্যে বলেছেন,

“বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ ভারতে বিভিন্ন পশুর সংখ্যা বাড়ছে। জঙ্গল সংরক্ষণ এবং বন্য প্রাণীদের বাসস্থান নিরাপদ করে তোলার জন্য আমাদের সবরকম চেষ্টা করতে হবে।” এছাড়াও রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,

“বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান হলেও, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে প্রতিদিন আমাদের সচেতন থাকা উচিত।” কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকর বলেছেন,

“১৯৫২ সালে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া চিতা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই এটি বাস্তবের চিত্র ধরা দেবে।”

নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।

বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।

Further Reads