শীতকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেক ভ্রমণপ্রিয় মানুষই ঘুরতে যাওয়ার একটা লম্বা লিস্ট তৈরি করে নেন | আর এই শীতকালীন ভ্রমণ তালিকাটির মধ্যে ভারতের দক্ষিণ এবং পশ্চিমের ভ্রমণ স্থানগুলোকেই পর্যটকরা শীতকালীন ভ্রমণের সেরা ঠিকানা হিসেবে বেছে নিয়ে থাকেন | শীতের দিনে মিঠে রোদ গায়ে মেখে আনন্দে ভেসে যাওয়া অথবা রৌদ্রস্নাত দিনে প্রিয় মানুষের সঙ্গে মরুভূমির বুকে হারিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতাটা বেশ রমনীয় | কিন্তু এই সময় পর্যটকদের ভিড়, হোটেলের অতিরিক্ত ভাড়া ইত্যাদির কারণে অনেকসময় ভ্রমণের অভিজ্ঞতাটা তেমন সুমধুর হয় না |
কিন্তু আপনি যদি পর্বতপ্রেমী হয়ে থাকেন, তাহলে শীতকালীন ভ্রমণস্থান হিসেবে পার্বত্য অঞ্চলের এই ছোট গ্রামগুলোকে বেছে নিতে পারেন | কম খরচে পাহাড়ি গ্রামগুলোর সারল্যের মধ্যে অনাবিল আনন্দের স্বাদ পাওয়ার জন্য এই স্থানগুলো ভ্রমণের জন্য এক্কেবারে আদর্শ |
কত্খাই:
ঠান্ডার দিনে শিমলার কাছে কোনও শান্ত এবং নির্জন গ্রামে ছুটি কাটাতে চাইলে পৌঁছে যেতে পারেন কত্খাই| শিমলা থেকে মাত্র ৫৮ কিমি দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রামটি শীতকালীন ভ্রমণের জন্য আদর্শ ঠিকানা | পাহাড়ি গ্রামের নিখাদ সৌন্দর্য ও সরলতার সঙ্গে, কত্খাই-এর প্রসিদ্ধ আপেল বাগান ও কতখাই ফোর্ট পরিদর্শন করার অভিজ্ঞতাটা একদম মিস করবেন না যেন |
কী করবেন:
শীতের সময় কত্খাই-এ প্রচুর তুষারপাত হলেও রাস্তাঘাটগুলোর সুলভ পরিষেবা পাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ থাকে| এই অঞ্চলের অজানা সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার জন্য কত্খাই ফোর্ট ঘুরে আসতে পারেন | প্রিয়জনের সঙ্গে বরফ নিয়ে খেলার জন্য পর্যটকরা এই জায়গাটিকে বেছে নেন | যদি হাতে সময় থাকে তাহলে কত্খাই থেকে প্রসিদ্ধ শৈল শহর চেগ, ফাগু এবং থেগ ঘুরে আসতে পারেন |
কীভাবে যাবেন:
বিমানে: কত্খাই ভ্রমণের জন্য নিকটতম বিমানবন্দরটি হল যুব্বারহট্টি, যার দূরত্ব প্রায় ৭৮কিমি |
ট্রেনে: নিকটতম রেল স্টেশনটি হল শিমলা | স্টেশন থেকে মাত্র ৬০ কিমি দূরত্বে পৌঁছে যেতে পারেন কত্খাই|
সড়কপথে: সড়কপথে কত্খাই পৌঁছতে চাইলে রাজ্য পরিবহণ সমিতি পরিচালিত বাস পরিষেবার সাহায্যে দিল্লি বা চণ্ডিগড় থেকে পৌঁছে যেতে পারেন শিমলা বাস স্ট্যান্ড | শিমলা থেকে রহরু যাওয়ার বাসে চেপে অথবা শিমলা থেকে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করেও পৌঁছে যেতে পারেন কত্খাই|
২. রাভাংলা:
সিকিম রাজ্যের তেডং ও মেনাম পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত রাভাংলাকে শীতকালীন ভ্রমণস্থান হিসেবে বেছে নিতে পারেন | সমস্ত পাহাড়প্রেমী পর্যটকের কাছে সিকিম রাজ্যটি অন্যতম প্রধান পর্যটনস্থান হিসেবে পরিচিত | রাভাংলা নামকরণ হয়েছে রওঙ্গলা থেকে | এই গ্রাম থেকে হিমালয়ের তুষারশুভ্র শিখরের দৃশ্যটা দেখতে অসাধারণ লাগে | এছাড়াও পাহাড়ি গ্রামের ছবির মতো দৃশ্যপটের প্রত্যক্ষদর্শী হতে আপনাকে আসতেই হবে রাভাংলাতে |
কী করবেন:
রাভাংলার নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলো হল বুদ্ধপার্ক, রালং মনেস্ট্রি, মাংব্রুয়ে গুমফা, ভিউ পয়েন্ট, সামাদরূপটসে পাহাড় | এখানকার খেউন্সফালিং কার্পেট সেন্টার থেকে স্থানীয় মানুষের শিল্পকার্যে তৈরি সিকিমের স্মৃতি কিনে নিয়ে যেতে পারেন | আবার এখান থেকে সিকিমের প্রসিদ্ধ স্থান পেলিং, কালুক, নামচী পরিদর্শন করে আসতে পারেন | আর রাভাংলার স্থানীয় রেস্তোরাঁগুলো থেকে উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলোর খাবার চেখে দেখতে কিন্তু একদম ভুলবেন না |
কীভাবে যাবেন:
বিমানে: রাভাংলার নিকটতম বিমান বন্দরটি হল গ্যাংটক | বিমানবন্দর থেকে ছোটগাড়ি ভাড়া করে মাত্র ৭০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে পৌঁছে যেতে পারেন গন্তব্যে |
ট্রেনে: নিকটতম রেল স্টেশন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পৌঁছে, একটা ছোট গাড়ি ভাড়া করে মাত্র ১২০ কিমি দূরত্বে পৌঁছে যান গন্তব্যে |
সড়কপথে: সিকিম পর্যটন বিভাগ থেকে বাস করে এই রাজ্য ভ্রমণের সুবিধা নেই | তাই নিকটবর্তী যে কোনও শহর থেকে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন রাভাংলা |
৩. করসং:
হিমালয়ের পীরপিঞ্জল অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৪০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত শৈলশহর করসং| পার্বত্য অঞ্চলের সৌন্দর্যে সুশোভিত এই অঞ্চলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি বর্ণময় ধার্মিক কাহিনি | স্থানীয় উপকথা অনুযায়ী, একসময় এক রাক্ষস এখানকার স্থানীয় মানুষদের হত্যার ষড়যন্ত্র করছিল | এই ঘটনার কথা পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে ভীম কোনওভাবে জানতে পেরেছিলেন | আর তাই গ্রামবাসীদের রক্ষা করার জন্য ভীম সেই রাক্ষসকে হত্যা করেন | মহাভারতীয় উপকথাগুলোর সাক্ষী থাকতে করসং আসতে পারেন |
এছাড়াও, পাহাড়বেষ্টিত সবুজে ঘেরা মাঠ, আপেল বাগান, খরস্রোতা পাহাড়ি নদীর বহমানতা আর তার সাথে স্থানীয় মানুষে সরল জীবন ধারাকে প্রাণভরে উপভোগ করার জন্য এই গ্রামের পক্ষ থেকে রইল আমন্ত্রণ |
কী করবেন:
পাহাড়ের অসাধারণ দৃশ্য সমূহকে দেখতে একটা ছোট ট্রেক করে পৌঁছে যেতে পারেন ভিউ পয়েন্টে | আর অনন্য সৌন্দর্যকে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য ক্যামেরাবন্দি করতে আর স্থানীয় মানুষের হাতের তৈরি সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিতে কিন্তু ভুলবেন না | প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রাচীন মন্দিরগুলোও ভ্রমণ করে আসতে পারেন |
কীভাবে যাবেন:
বিমানে: করসং ভ্রমণের জন্য নিকটতম বিমানবন্দরটি হল যুব্বারহট্টি | বিমানবন্দর থেকে ১১৪ কিমি দূরত্বে পৌঁছে যেতে পারেন গন্তব্য |
ট্রেনে: ট্রেনে কালকা স্টেশন পৌঁছে মাত্র ১৬০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে পৌঁছে যেতে পারেন করসং |
সড়কপথে: করসং যাওয়ার জন্য সড়কপথ অবলম্বন করাই শ্রেয় | দিল্লি, চণ্ডিগড় বা শিমলা থেকে বাস কিংবা ট্যাক্সি ধরে খুব সহজেই গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন | এখানকার রাস্তা খুবই ভাল, তাই নিজে ড্রাইভ করার পরিকল্পনাটাও মন্দ হবে না |
৪. থাচি:
শীতকালীন ভ্রমণ ডেস্টিনেশন হিসেবে হিমাচল প্রদেশের কোনও অফবিট স্থানের সন্ধান করছেন? তাহলে থাচি হয়ে উঠতে পারে আপনার একমাত্র ঠিকানা | পাহাড় ও বড় বড় গাছের সমারোহে হিমালয় ন্যাশনাল পার্ক এবং তুষারাবৃত হিমালয়ের শৃঙ্গ তথা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আহরণের জন্য পর্যটকদের কাছে এই স্থানটি বেশ আকর্ষণীয় | আধুনিক সমাজের কর্মব্যস্ত জীবন থেকে মুক্তি পেতে থাচি ভ্যালি জায়গাটিকে অনায়াসেই বেছে নিতে পারেন | পাহাড়ি সৌন্দর্যের সঙ্গে প্রবাহমান জলপ্রপাত, কাঠের বাড়িতে রাত্রিবাস এই সব কিছু মিলিয়ে থাচি স্থানটি আপনাকে মুগ্ধ করবেই |
কী করবেন:
আপনি থাচি এসে স্থানীয় মানুষের জীবনধারার সাথে মিশে যেতে পারেন | ইচ্ছা করলে একটা ছোট ট্রেক করে ট্রেইল ঘুরে আসতে পারেন | আর থাচির বিখ্যাত বিঠু নারায়ন মন্দির এবং হাদিম্বা দেবী মন্দির পরিদর্শন করাটা কিন্তু মাস্ট |
কীভাবে যাবেন:
বিমানে: নিকটতম বিমানবন্দরটি ভুন্টারে অবস্থিত | বিমানবন্দর থেকে থাচির দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিমি |
ট্রেনে: নিকটতম রেল স্টেশনটি হল চণ্ডিগড় | স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে ২৪৫ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে পৌঁছে যেতেই পারেন গন্তব্যে |
সড়কপথে: থাচির নিকটে অবস্থিত যে কোনও শহর থেকে বাস ধরে পৌঁছে যান অট | অট থেকে বাসে চেপে ভায়া বালিচৌকি হয়ে সোজা পৌঁছে যান থাচি ভ্যালি | তবে অট থেকে আপনি ট্যাক্সি ভাড়া করেও থাচি পৌঁছতে পারেন |
৫. চাওকরী:
দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলার সঙ্গে হিমালয়ের তুষারশুভ্র শিখরের একাত্ব হয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি কখনও প্রত্যক্ষ করেছেন? কিংবা হিমালয়ের পাদদেশে চা এবং ফলের বাগানের চিত্রাকর্ষক দৃশ্যর মুখোমুখি হয়েছেন? এই সমস্ত দৃশ্যর একনিষ্ঠ দর্শক হতে চাইলে চাওকরীতে আপনাকে স্বাগত | এই শান্তপ্রিয় গ্রামটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,০০০ মিটার উচ্চতায় উত্তরাখণ্ডের পিঠরাগড় জেলায় অবস্থিত |
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, চাওকরী থেকে নন্দা দেবী, পঞ্চচুল্লি, এবং ত্রিশূলকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করা যায় | সকালের প্রথম সূর্যকিরণে বিকশিত হওয়া হিমালয় কিংবা সূর্যাস্তের সময় ভিন্ন রঙের আলোয় মাখা হিমালয়ের মোহনীয় রূপটি একবার প্রত্যক্ষ করলে আপনিও হিমালয়ের প্রেমে পড়তে বাধ্য হবেন |
কী করবেন:
চাওকরী-এর দর্শনীয় স্থানগুলো হল অর্জুনেশ্বর শিব মন্দির, ঘুনসেরা দেবী মন্দির এবং কপিলেশ্বর মহাদেব মন্দির | এছাড়া আপনি ট্রেক করেও এই পার্বত্য অঞ্চলটি ভ্রমণ করতে পারেন আবার হোটেলে থেকেও সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত এবং প্রকৃতির বিভিন্ন শোভা উপভোগ করতে পারেন |
কীভাবে যাবেন:
বিমানে: বিমানের সাহায্যে চাওকরী পৌঁছানোর তেমন কোনও সুযোগ নেই |
ট্রেনে: নিকটতম রেল স্টেশনটি হল হালদ্বানী | স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে ২০০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে পৌঁছে যেতেই পারেন গন্তব্যে|
সড়কপথে: হালদ্বানী বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে চেপে পৌঁছে যেতে পারেন | আবার হালদ্বানী থেকে শেয়ার জিপ ভাড়া করে ৭-৮ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যেতে পারেন চাওকরী |
৬. হার্ষিল:
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ শীতকালীন ভ্রমণ স্থান হিসেবে হার্ষিলকে বেছে নিতে পারেন | পাহাড়ে মোড়া এই গ্রাম টি উত্তরকাশীর প্রধান শহরগুলো থেকে মাত্র ৭২ কিমি দূরে ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত | সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৬০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রামটিতে শীতকালে প্রচুর তুষারপাত হয় | হিমালয়ের অকৃত্রিম সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে দেবদারু গাছের সমাহার এবং স্বর্গীয় পরিবেশ; এককথায় যাকে রূপকথার রাজ্য বললেও খুব একটা ভুল হবে না|
কী করবেন:
হার্ষিল ট্রেক করার জন্য আদর্শ স্থান | এছাড়াও প্রকৃতির সৌন্দর্যের রহস্য এবং অজানা পাখির সন্ধান পেতে হার্ষিলকে বেছে নিতে পারেন | আর এখানকার বিখ্যাত সাতটি লেক প্রত্যক্ষ করতে ঘুরে আসতে পারেন সাত-তাল |
কীভাবে যাবেন:
বিমানে: নিকটতম বিমানবন্দরটি দেরাদুনে অবস্থিত | বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে ২২০ কিমি দূরত্বে পৌঁছে যেতে পারেন গন্তব্যে |
ট্রেনে: নিকটতম রেলস্টেশনটি হল দেরাদুন | স্টেশন থেকে বাসে চেপে পৌঁছে যেতে পারেন উত্তরকাশী | উত্তরকাশী থেকে একটা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান হার্ষিল|
৭. খিরশু:
আপনি কি প্রিয় মানুষের সাথে ছুটি কাটানোর জন্য কোনও রোমান্টিক ডেস্টিনেশন খুঁজছেন? তাহলে হিমালয় পাহাড়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম খিরশুকে বেছে নিতে পারেন | উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল অঞ্চলে অবস্থিত গ্রাম পাউরি থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে এই খিরশু অবস্থান | এখানে স্থানীয় মানুষের আতিথেয়তা এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যের মুগ্ধতা আপনাকে অভিভূত করবেই |
কী করবেন:
আপনি যদি পার্বত্য অঞ্চলের প্রকৃতির সৌন্দর্যকে প্রাণভরে উপভোগ করতে চান তাহলে হাইকিং করে পৌঁছে যেতে পারেন উঁচু পর্বতের চূড়ায় | তাছাড়া হোটেলে থেকেও গ্রাম্য পরিবেশ ও পাহাড়-এর সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারেন |
কীভাবে যাবেন:
বিমানে: নিকটতম বিমানবন্দরটি হল জলি গ্রান্ট এয়ারপোর্ট | বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে ৩১৯ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে পৌঁছে যান গন্তব্যে |
ট্রেনে: খিরশু পৌঁছনোর জন্য নিকটতম রেল স্টেশনটি হল কোটদ্বার | স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে ১৪০ কিমি দূরত্বে পৌঁছে যেতে পারেন গন্তব্যে |
সড়কপথে: এখানে পরিবহন ব্যবস্থা বেশ ভালই তাই উত্তরাখণ্ডের যে কোনও শহর থেকে বাস বা ট্যাক্সি চেপে খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন গন্তব্যে |
হিমালয়ের কোলের এই শান্ত এবং শীতল গ্রামগুলোর তরফ থেকে সমস্ত ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য রইল উষ্ণ অভ্যর্থনা |