আমরা যারা চাকরি করি, দশটা-পাঁচটার সেই গতানুগতিক জীবন থেকে ভ্রমণের মাধ্যমে সব সময় একটু অবসর খোঁজার চেষ্টা করে থাকি। সেইরকমই ১৮-১৯ অর্থ-বর্ষে আমাদের সৌভাগ্য হয় ১২টি ভিন্ন ধরনের জায়গা ঘুরে দেখার। কিন্তু সবথেকে অদ্ভুত ব্যাপার হল এই জায়গাগুলোতে ভ্রমণের জন্য আমাদের তেমন কোনও ছুটি নষ্ট হয়নি বা সঞ্চিত অর্থ বিশেষ খরচ হয়নি। আর সেটাই আজকে সবাইকে বলব কীভাবে কাজের ক্ষতি ছাড়াই আমরা এতগুলো জায়গা ঘুরে এসেছি।
জায়গা এবং সময় নির্বাচন:-
জায়গা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দিক হল সঠিক সময় নির্বাচন। ঠিক যেভাবে জানুয়ারি মাসে চ্যাপলিন ওয়াটারফলের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন না, সেভাবেই মার্চ-এপ্রিল মাসে কচ্ছের রানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অদেখা থেকে যাবে। তাই যদি আপনি সঠিক সময় উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করতে না পারেন, তাহলে আপনার কাজটা ৫০ শতাংশই অধরা থেকে যাবে।
তবে আমার মনে হয় জায়গা নির্বাচনের কাজটা ততটা কঠিন নয়, যতটা কঠিন কাজ হয়তো সঠিক সময়ে সঠিক জায়গা নির্বাচন করা। এমনকি, সামান্য ভুল ত্রুটির জন্য সেই জায়গাটির অনেক কিছুই আপনার চোখে অদেখা হয়ে থাকতে পারে। যেমন ধরুন- আমরা পুনের লাভাসা লেক সিটি যখন পৌঁছলাম, তখন সেখানে চলছে প্রবল বর্ষাকাল। প্রায় জোর করেই একটা অ্যাপার্টমেন্টে থেকে যাই এবং সেখানকার কিছু জায়গা উপভোগ করতে পারলেও এই স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া এবং বৃষ্টির জন্য প্রায় কোন কিছুই দেখতে না পেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরে আসি। আশা করি আপনারা হয়তো বুঝতে পারবেন যে সবকিছু গোছগাছ করে যখন ঘুরতে বেরোনো হয় তখন সেখানে গিয়ে যদি কোনও কারণে ঘরবন্দি থাকতে হয় তাহলে কেমন লাগে। তাই জন্য আবার বলছি উপযুক্ত ভ্রমণের জায়গা নির্বাচন করার আগে সঠিক সময় নির্বাচন করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
খরচ খরচার তালিকা:-
প্রথমেই একটা কথা বলে রাখি যদি ঘুরতে যেতে হয় তাহলে আমাদের সঙ্গে টাকা রাখাটাও আবশ্যিক। এমন কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে আপনাকে খুচরো টাকা দিতে হবে যেমন কোথাও টোল ট্যাক্স, কোথাও আবার বেয়ারার টাকা এবং সেখানকার অন্যতম স্মারকগ্রন্থ কেনার জন্য টাকা লাগতে পারে। এছাড়াও খাবার-দাবার এবং গাড়ির জ্বালানির জন্য বেশ কিছু টাকা খরচের তালিকায় থেকেই যায়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় খরচ আপনার ঘুরতে যাওয়ার সময় হবে এবং সবসময় তার জন্য প্রস্তুত থাকা দরকার।
তাহলে এবার প্রশ্ন হল কেমন ভাবে আমরা নিজেদের সঞ্চিত অর্থ ব্যয় না করে ঘুরতে পারি। আর এর উত্তরে বলতে পারি যে ঘুরতে যাওয়ার জন্য ন্যূনতম একটি বাজেট তৈরি করে ফেলা প্রয়োজন। যদি প্রথমে আপনি আপনার ভ্রমণ কেন্দ্রগুলি ঠিক করে ফেলতে পারেন, তাহলে বুঝতে পারবেন মোটামুটি খরচে সেখানে কোথায় থাকবেন এবং সেখানকার সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখার জন্য পরিবহণ ব্যবস্থায় কীরকম অর্থ ব্যয় হতে পারে তারও একটা আন্দাজ পেয়ে যাবেন। এর পরে আপনি আপনার সাধ্য মতো খরচ খরচার তালিকা তৈরি করতে পারবেন, যা হয়তো আপনার এই ভ্রমণকে করে তুলবে অসামান্য।
আমাদের ঘুরতে যাওয়ার প্রায় দুই থেকে আড়াই মাস আগে বেশ ভাল রকমের ছাড়ে ভ্রমণের স্থান এবং তার সঙ্গে থাকবার জায়গা এবং হোটেলগুলো ঠিক করে ফেলি। যাতায়াত ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও সর্বনিম্ন মানের প্লেনের টিকিট জোগাড় করি আর যদি ট্রেনে করে যায় তবে থ্রি-টায়ার এসি কোচের টিকিট কাটি। এখনও পর্যন্ত এটাই সব জায়গায় ঘুরতে গিয়ে করে এসেছি; আর বলব যদি এই সমস্ত কিছু কম খরচেই হয়ে যায় তবে আপনি যে কোনও জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
থাকবার জায়গা:-
আপনার সাধ্যের মধ্যে থাকার জায়গা নির্বাচন করতে পারেন। থাকার জায়গা খোঁজার জন্য আমরা আমাদের কিছু নিয়ম-নীতি সাজিয়ে নিয়েছিলাম প্রথম থেকেই। যদি আপনি ভ্রমণ কেন্দ্রে পৌঁছে সেখানকার আশেপাশের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করতে চান, তাহলে বলব সেখানে হোমস্টে বা হোটেলগুলোতে থাকাই বেশি সুবিধাজনক। মুন্নারে আমরা একটি হোমস্টেতে ছিলাম এবং সেখান থেকে আমরা নীলাকুরিনজি ব্লুমের সবকিছু দেখতে পাই।
আর অপরদিকে যদি আপনি এমন জায়গায় ভ্রমণ করতে যান যেখানে আশেপাশের কোন দেখার মত জায়গা নেই, তাহলে বলব সে ক্ষেত্রে আপনি একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট বা হোটেল ভাড়া করে থাকতেই পারেন সেখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং সর্বক্ষণ সব রকমের সুবিধা নিতে। যেমন উদয়পুরে আমরা তাজ লেক প্যালেসের রয়েল গ্লোরিতে ছিলাম। তবে ঘুরতে যাওয়াটা সম্পূর্ণ নিজের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। আমরা আমাদের সাধ্য মতো সব কিছু করতে পেরেছিলাম, তাই হয়তো ঘুরে বেড়ানোর আনন্দটাও অনেক বেশি উপভোগ করেছি।
ছুটি পরিকল্পনা:-
ভ্রমণের জন্য যদি আপনি নিখুঁত কোনও পরিকল্পনা করেন তবে দশের মধ্যে দশটি জায়গায় আপনি সঠিকভাবে ঘুরতে পারবেন। আর সেটিই আমাদের সঙ্গে হয়েছে। ঘুরতে যাওয়ার জন্য বহু আগে থেকে আমরা জায়গাগুলো এবং দিনগুলো নির্বাচন করে রাখায় বছরের নির্দিষ্ট ছুটির দিনগুলোও খরচ হওয়ার পরিবর্তে পরের বছর সেগুলো পুনরায় যোগ হয়।
২০১৮ সালে বেশ কিছু অযাচিত ছুটি পেয়ে যাওয়ায়, কাজের ক্ষতি না করেই ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করাটা খুব বেশি সহজ হয়ে দাঁড়ায় আমাদের কাছে।
তবুও বলব ঘুরতে যাওয়ার জন্য যেটুকু অর্থ এবং সময়ের দরকার সেটি আগে থেকে ঠিক করে রাখা প্রয়োজন।
ভ্রমণ কেন্দ্রগুলো এবং থাকার জায়গার বিবরণী
১. ২০১৮ সালে জুন মাসে ২ দিনের জন্য গিয়েছিলাম ভান্ডারদারা-র fireflies দেখতে এবং ক্যাম্পেইন করতে (সপ্তাহান্ত তাই কোন ছুটির প্রয়োজন হয়নি)
২. ২০১৮ সালে ২ দিনের জন্য লাভাসা লেক সিটি (সপ্তাহান্ত, তাই ছুটি নিষ্প্রয়োজন)
পারিবারিক অনুষ্ঠানের দরুন আমরা এখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম এবং এখানকার একটি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে ছিলাম, যেটি ছিল লেকের সম্মুখে।
আমরা দুটো ঘর ভাড়া করেছিলাম যেটি ছিল লেকের ডান দিকে। তবে লাভাসা শহরে তেমন কিছু দেখার মতো না থাকলেও কিছু বেশি টাকা খরচ করে আপনার ইচ্ছে মত জায়গায় ঘুরে দেখতে পারেন।
৩. ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ১ দিনের জন্য গিয়েছিলাম কার্যাত-এ বেক্রে ওয়াটারফলস-এ ওয়াটার রেপলিং করতে (দিনটা ছিল রবিবার)
বর্ষাকালে এখানে ঘুরতে এসে বেশ অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। একদিন এখানে থেকে আমরা ট্রেকের জন্য বেরোই এবং আশেপাশের কিছু জায়গা পর্যবেক্ষণ করি আর তাতে আমাদের কোন ছুটি নষ্ট হয় না।
৪ এবং ৫. ২০১৮ সালে আগস্ট মাসে ৪ দিনের জন্য যাওয়া হয়েছিল মহাবালেশ্বর এবং লোনাভালা (সপ্তাহান্ত এবং স্বাধীনতা দিবসের জন্য ছুটি ছিল আর একদিন ছুটি নিয়েছিলাম)
Oyo মারফত আমরা আমাদের বাজেটের মধ্যে একটি হোটেলের ঘর নির্বাচন করি যেটি সৌন্দর্য পরিপূর্ণ পার্বত্য স্টেশন মহাবালেশ্বরে অবস্থিত ছিল। পরবর্তী সময় লোনাভালা পৌঁছই। এই জায়গাটি খুব জনবহুল হলেও বেশ কিছু জিনিস দেখার মতন আছে। ভুসি ড্যাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য আমরা এখানকার এক স্কাই ভিলা ভাড়া করেছিলাম। আগেই বলেছি আপনি যদি আপনার বাজেটের মধ্যে ঘুরতে চান তাহলে সবার আগে হোটেল এবং থাকার জায়গা, খাওয়া-দাওয়া এগুলোর একটি চার্ট বানিয়ে নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
৬. ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১ দিনের জন্য যাওয়া হয় পেব-ভিকাটগড় ফোর্ট ট্রেক (রবিবার)
জায়গাটিতে ভ্রমণ করতে এসে কাছাকাছি স্থানগুলিতে একদিনের জন্য ট্রেকে বেরিয়েছিলাম। সত্যি বলতে সেই ট্রেকটা আমার জীবনের সবথেকে সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল। চারিদিকে ঘন সবুজ ঘাস, পাহাড়ের গায়ে গায়ে ভেসে বেড়ানো শীতল বাতাস বড়ই অদ্ভুত এক পরিবেশের সৃষ্টি করছিল।
৭. ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৩ দিনের জন্য যাওয়া হয় মুন্নারের নীলাকুরিনজি Blooming (গণেশ চতুর্থীর ছুটির সঙ্গে একটি ছুটি নেওয়া হয়েছিল)
১২ বছরে একবার পালিত হয় এমন উৎসবে সামিল হতে আমরা ৩ দিন ধরে গাড়ি করে কোয়েম্বাটুর ভ্রমণ করি। এখানে আমরা একটি ছোট্ট হোমস্টেতে রাত্রি যাপন করি। আমাদের ঘরটি মুন্নার শহরের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত ছিল এবং এটির বিশেষত্ব ছিল এটি মুন্নার-এর সমস্ত ঘুরে বেড়ানোর জায়গা থেকে সমদূরবর্তী কেন্দ্রে অবস্থিত।
বিঃদ্রঃ এখানকার ফুলগুলো সৌন্দর্য্য অতুলনীয়।
৮. ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসের ২ দিনের জন্য যাওয়া হয় কাস পাথর, ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার, সাতারা (সপ্তাহান্ত, ছুটি নিষ্প্রয়োজন)
এই স্থানে ঘুরতে এসে আমরা প্রথমে পুনেতে আমাদের এক বন্ধুর বাড়িতে থাকি এবং সেখান থেকে সাতারার দিকে যাত্রা করি। তাই থাকবার জন্য আলাদা করে কোনও খরচ হয়নি। শুধুমাত্র গাড়ির জ্বালানি এবং ‘ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইট’ ঢুকতে প্রবেশ মূল্য দিতে হয়।
৯. ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ৪ দিনের জন্য যাত্রা করি উদয়পুর (দশেরার জন্য ছুটি থাকায় দুদিনের জন্য শুধু ছুটি নিতে হয়)
প্রথম থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম উদয়পুরে আমরা তাজ লেক প্যালেসে থাকব। এখানকার সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। প্যালেসে আমাদের রুমটা ছিল ভাসমান প্রাসাদের মতো।
এই প্যালেসে থাকা-খাওয়ার সুবন্দোবস্ত ছিল এবং এখানকার অভিজ্ঞতা বেশ ভাল।
১০. ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ৩ দিনের জন্য যাওয়া হয় কুচ-অফ-রান (সপ্তাহান্ত, তাই একদিন ছুটির প্রয়োজন হয়)
এখানে যাওয়াটা খুব একটা মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল না। তবে বলব যদি আপনারা এখানে ঘুরতে যান তবে অবশ্যই রানোৎসব দেখবেন। এখানে সুসজ্জিত ঘরগুলোতে থাকার সুযোগ পাবেন এবং খরচ খরচা পুরোটাই উৎসবের উপর নির্ভরশীল।
রান উৎসবের প্যাকেজের মধ্যে আপনারা পাবেন টেন্টে থাকার সুবর্ণ সুযোগ, সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুস্বাদু খাবার এবং তার সঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন ধূসর মরুভূমি। আর এই সব কিছুর স্বাদ গ্রহণ করতে অবশ্যই রানোৎসবে একবার যেতেই হবে।
১১. ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ দিনের জন্য গণেশগুলে, রত্নগিরি (সপ্তাহান্তের সাথে একদিনের ছুটি)
বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে বলতে হঠাৎ করে সমুদ্রের ধারে নিজস্ব রিসোর্টে থাকা এই জায়গাটির কথা মনে পড়ে গেল। খরচা ন্যূনতম বললেই চলে। অভিজ্ঞতা বলতে গেলে বলবো সমুদ্রের সঙ্গে প্রকৃতির এক অদ্ভুত মেলবন্ধন এখানে দেখা যায়।
১২. ২০১৯ সালে মার্চ মাসের ২দিন ভেলাস টার্টল ফেস্টিভ্যাল, রত্নগিরি (সপ্তাহান্ত, ছুটি নিষ্প্রয়োজন)
পল্লী গ্রামে সময় কাটানোর এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা এই স্থানে পাবেন। এখানে কচ্ছপের জীবন ধারণের অদ্ভুত সব প্রক্রিয়ার সাক্ষ্য প্রমাণ মিলবে। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে আমরা এই ভ্রমণটি সম্পূর্ণ করেছিলাম।
এছাড়াও এই ভ্রমণে গিয়ে স্বাদ পাবেন সুস্বাদু কোঙ্কোনি খাবারের। যেগুলোর মধ্যে সবথেকে সুস্বাদু খাবার ছিল কাঁঠালের তরকারি।
কিছু কথা:-
আমরা খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ১২টি জায়গায় ঘুরেছি, তাও আবার মাত্র ৬ দিনের ছুটি নিয়ে। তাই এইটুকু বলতে পারি, সব সময় যে বাজেটের মধ্যে থেকেছি এমন নয়। কখনও কখনও আমরা সেই জায়গাগুলো পরিদর্শনের জন্য বা কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য গিয়েছি।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলব যাযাবরের মত ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে বেড়িয়ে জায়গা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ বা সেখানকার কোন অভিজ্ঞতা অর্জন করা অসম্ভব হয়ে যায়। যদিও এই ব্যাপারটা সম্পূর্ণ মনুষ্য নির্ভর। কিন্তু আমাদের কাছে কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া মানেই সেই জায়গার ইতিহাস, তার ঐতিহ্য, তার পরম্পরা এবং সেখানকার গুরুত্ব সম্বন্ধে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা। তাই ঘুরে বেড়ানোর ক্ষেত্রে আপনি যেমন সামান্য একটা বাজারের মধ্যে থেকে আনন্দ পেতে পারেন আবার কোন Jacuzzi পুলে থেকেও সেই আনন্দ পেতে পারেন। তবে পুরোটাই আপনার উপর নির্ভরশীল যে আপনি আনন্দ কীভাবে উপভোগ করবেন।