যদি আপনি দিল্লির বাসিন্দা হন তাহলে নিমরানার কথা উঠলেই দিল্লি থেকে খুব কাছে এই উইকেন্ডে বেড়াতে যাওয়ার জায়গার কথা মনে পড়বে। দিল্লি থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে এই জায়গা। এখানকার ফোর্ট হোটেল খুবই সুন্দর। এখানে এসেই সন্ধান পাওয়া গেল আলওয়ারের মতো জায়গার যেখানে একই গ্রুপের হোটেল আছে। আলওয়ার নিমরানা থেকে ৭৪ কিলোমিটার এবং দিল্লি থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
কেন যাবেন এখানে
আলওয়ারের কেসরোলি ফোর্ট মানেই হল রাজকীয় আভিজাত্য আর শান্তির নিবাস। এই জায়গা দিল্লির খুব কাছে হলেও হৃষীকেশ বা আগ্রার মতো কমন জায়গা নয়। সবচেয়ে মজার কথা হল এই হোটেল ফ্যামিলি ট্রিপ, রোম্যান্টিক ট্রিপ আর একা একা যাওয়ার জন্যও বেশ ভাল।
হিল ফোর্ট কেসরোলি
এই হোটেল সম্পর্কে দু'চার কথা
আলওয়ার জেলার কেসরোলি অঞ্চলে অবস্থিত এই সুন্দর হোটেল। এটি একটি হেরিটেজ সম্পত্তি। বলা হয় যে ১৪ শতকে এই কেল্লা বানিয়েছিলেন যদুবংশী রাজপুতরা। রাজপুতদের হাতে আসার আগে এই কেল্লা দখল করেছিলেন মুঘল আর জাঠরা। ১৭৭৫ সালে রাজপুতরা এই কেল্লা দখল করে যখন আলওয়ার একটি প্রিন্সলি স্টেট ছিল। ১৯৯৫ সালে এই কেল্লার সংরক্ষণের কাজ শুরু হয় ও ১৯৯৮ সালে এটি জনসাধারণের কাছে একটি হেরিটেজ সম্পত্তি হিসেবে খুলে দেওয়া হয়।
এই দুর্গ নতুন করে সাজানো হয়েছে তাই এখানে আধুনিক জীবনের উপযোগী সব রকম সুবিধাই আছে। কিন্তু তাও এই দুর্গের সেই প্রাচীন মাধুর্য এখনও একই রকম আছে।
এখানে আছে পাঁচটি গ্র্যান্ড রুম, ১০ টি বিলাসবহুল সুইট ও ১২টি ঘর। প্রত্যেকটা ঘর প্রত্যেকটার চেয়ে এর ডিজাইন, স্থাপত্য, নাম সব দিক থেকে আলাদা। তবে সব ঘরের মধ্যে একটি সাদৃশ্যও আছে। সেটা হল এখানে সব ঘরের রঙ সাদা। সাদার একঘেয়েমি কাটাতে রংবেরঙ্গা রাজস্থানি জিনিস দিয়ে ঘর সাজানো হয়েছে। ফলে ঘরগুলো অনেকটা গ্রিসের মতো দেখায়।
ছাদের উপর আছে একটি অপূর্ব পুল, যেখান থেকে পুরো শহরের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়। রয়েছে আরাম করার মতো স্পা এবং একটা সুন্দর সন্ধে কাটানোর মতো একটা বাগান।
খরচ
দু'জনে থাকার খরচ এখানে শুরু হয় ৩৫০০ টাকা থেকে এবং শেষ হয় ১৪০০০ টাকা পর্যন্ত। যে রেঞ্জের ঘর আপনি বেছে নিন, সকালে ব্রেকফাস্ট বিনামূল্যে পাবেন। দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য এঁদের কিছু নির্ধারিত মেনু আছে যার খরচ পড়বে ব্যক্তি পিছু ৯০০ টাকা। এর বাইরেও আপনি আলা কার্টে বেছে নিতে পারেন।
খাবার
উত্তর ভারতের সুস্বাদু খাবারের স্বাদ এখানে আপনি পাবেন। এখানকার খাবারের বিশেষত্ব হল এখানকার মাংসের স্বাদ। এই মাংস আসে এখানকার স্পেশ্যাল ফ্রেঞ্চ ফার্ম থেকে। আলাদা কিছু খেতে চাইলে আগে থেকে শেফকে বলে রাখলেই হবে।
কখন যাবেন
এখানে খুব গরম পড়ে। মাঝে মাঝে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে যায়। তাই শীতকালে আসাই ভালো। মোটামুটি ভাবে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি হল আলওয়ার যাওয়ার সেরা সময়।
কীভাবে যাবেন
আলওয়ারের কাছে অবস্থিত সবচেয়ে বড় শহর হল দিল্লি।তাই এখান থেকেই আলওয়ার আসা যায়।
সড়কপথে - NH৭৯ যুক্ত করে দিল্লি আর কেসরোলি হিল ফোর্টকে। ১৭০ কিলোমিটারের রাস্তা পেরোতে লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত।
রেলপথে- দিল্লি থেকে আলওয়ার আসার অনেক ট্রেন আছে। ট্রেনে মোটামুটি দু'ঘণ্টা ৪৫ মিনিট লাগে।
এখানে কী কী করার আছে
এটা ঠিক যে অনেক কিছু করার মতো জায়গা আলওয়ার নয়। কিন্তু তাও এখানে অনেক কিছু করার আছে।
আরাম করুন, তরতাজা থাকুন নতুন জীবন পান- জনপ্রিয় স্পা চেন ওরিয়েন্টাল সেন্সেস এখানেও স্পায়ের পরিষেবা দিয়ে থাকে। এখানকার সুইডিশ মাসাজ যা "সুইড ড্রিমস'' নামে খ্যাত খুব আরামদায়ক। এখানে পেশীতে লম্বা টান দিয়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেওয়া হয় যাতে রক্ত ঘুরে আবার হার্টে ফিরে আসে।
জঙ্গলের টানে - ৮৮৬ বর্গফুট জায়গা নিয়ে বিস্তৃত সারিস্কা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প দেখতে পারেন। এখানে প্রচুর গাছপালার সঙ্গে সঙ্গে আছে বাঘ, চিতা, হায়েনা ও বন্য ভল্লুক। জঙ্গলের মধ্যেই অবস্থিত কঙ্করঅয়ারি ফোর্ট। এখানে ব্যক্তিগত গাড়ির প্রবেশ নিষেধ আছে কিন্তু খোলা জিপে যাওয়া যায়।
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান- আলওয়ারের অন্যতম আকর্ষণ হল এখানকার বিশাল কৃত্রিম লেক জয়সামান্দ। এখানে পিকনিক করুন, প্রিয়জনকে নিয়ে লেকের ধারে বসে থাকুন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য এটি আদর্শ জায়গা।
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন
(এটি একটি অনুবাদকৃত আর্টিকেল। আসল আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন!)