মুখ্য ঘোষণা
২০১৮ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, নতুন দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের, যার মাধ্যমে এই দুই মহানগরীর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সুগম হবে এবং যাত্রাপথের সময় কমে হবে মাত্র ১২ ঘণ্টা। যুগান্তকারী এই এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। আট লেনের এই এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাক্সেস কন্ট্রোলের মাধ্যমে যানজট কমিয়ে যাত্রা সময় কমানোর জন্যই এমন প্রকল্পের ভাবনা।
প্রকল্প ভাবনা
জয়পুর এবং ভাদোদারা হয়ে গ্রিনফিল্ড প্রকল্পের এই এক্সপ্রেসওয়েটি দিল্লি এবং মুম্বইকে সংযুক্ত করবে। তদানীন্তন হাইওয়ে এবং সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গাডকরি জানান যে এক্সপ্রেসওয়েটির গতিপথ হবে দিল্লি - গুরগাঁও - মেওয়াট - কোটা - রাটলাম - গোধরা - ভাদোদারা - সুরাট - দাহিসার - মুম্বই। ১৩২০ কিমি দীর্ঘ এই পথটি দুটি শহরের মধ্যে প্রায় ১৫০ কিমি দূরত্ব কমিয়ে আনছে।
এই এক্সপ্রেসওয়েটি মোদি সরকারের পরিকল্পিত ৪২০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারতমালা পরিযোজনা নামক অর্থনৈতিক করিডোরের অংশবিশেষ। এই নির্মাণপ্রকল্পের খরচ ৯০০০০ কোটি টাকা এবং অতিরিক্ত ৯০০০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে ২৯ কিমি দীর্ঘ নতুন দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের জন্যে, যা গুরগাঁও শহরটিকে বাইপাস করে এগিয়ে যাবে।
নির্মাণ প্রকল্প
৫টি পর্যায়ে নির্মাণপ্রকল্পটিকে ভাগ করা হয়েছিল এবং প্রায় ৩৬ মাসের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হবে বলে আশা করা হয়েছিল কিন্তু পরিস্থিতির কারণে হাইওয়ে তৈরির কাজ আপাতত ক্ষীণ বলতে হবে। এবছরের অক্টোবরে দ্য ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথারিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে আবার প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে।
পর্যটনের সুবিধা এবং অন্যান্য বিষয়
পর্যটকদের সুবিধার কথা বিশেষভাবে মাথায় রাখা হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। দিল্লি এয়ারপোর্ট থেকে ফ্লাইট ধরার প্রয়োজন হলে আপনি এই এক্সপ্রেসওয়েটির ৫কিমি দীর্ঘ সুড়ঙ্গ হয়ে সরাসরি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের টার্মিনাল ৩-এ পৌঁছে যেতে পারবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এবং করোনা আবহে যাত্রীদের যাতায়াতে বেশ সুবিধাই হবে বলে মনে করা যাচ্ছে... প্রকল্পের প্রতিটি উল্লেখযোগ্য স্থানে ক্রস রোড আন্ডারপাসের ব্যবস্থা রয়েছে এবং সম্পূর্ণ যাত্রাটি আরও সহজ করে তোলার জন্য নানাবিধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিগত বছরেই।
এই প্রকল্পের কারণে এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন যে সকল স্থানের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভাল না, সেইসব জায়গায় উন্নতির ছোঁয়া লাগবে, তবে এই পরিস্থিতিতে অবস্থার গতিবিধি একটু ক্ষীণ। তবে ভবিষ্যতে অঞ্চলগুলোতে পর্যটন এবং নির্মাণশিল্পের উন্নতি হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। সব পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে আগামী দুইবছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে মনে করা যাচ্ছে।