যারা বেড়াতে ভালবাসেন তাঁদের কাছে একটি আকর্ষণীয় জায়গা হল গোয়া। এটি ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট। শুধু ভারতীয়দের কাছেই নয়, প্রতি বছর বিদেশ থেকেও বহু পর্যটক এখানে আসেন। কিন্তু গোয়া মানেই শুধু সমুদ্র সৈকত আর নারকেল গাছের সারি নয়। এখানে এমন অনেক জায়গা আছে যা পর্যটকদের কাছে এখনও জানেন না।
আপনাদের জন্য রইল গোয়ার এমন ১৩টি জায়গার হদিশ যা এখনও পর্যন্ত পর্যটকদের তালিকায় নেই
মোলেম ন্যাশনাল পার্ক ও ভগবান মহাবীর ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি অজস্র গাছগাছালি আর পশু পাখিতে ভরা। মোলেমে যেমন নানা জাতীয় সরীসৃপ দেখা যায় তেমনই স্যাংচুয়ারিতে আছে লেপার্ড, গাউর আর স্লথ ভল্লুক। এভাবে সাসটেনেবল গোয়া ট্যুরিজমের প্রচারও করা হয়ে যাবে।
স্যাংচুয়ারিতে কুমীর দেখতে না পেলে অধৈর্য হয়ে পড়বেন না, চলে যান কুম্বারজুয়া ক্যানালে। ঘন ম্যানগ্রোভ অরণ্য, আর নদীর পাড়ে ঘুমন্ত কুমীর দেখতে দারুণ লাগবে।
এটা একটা সম্পূর্ণ অরগ্যানিক বাগান। এখানে কোনও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। তবে এটা শুধুই একটা বাগান নয়। গোয়ার মশলা ব্যবসার ইতিহাস জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে। তাই আপনার এই বিষয়ে উৎসাহ থাকলে অবশ্যই এখানে একবার আসবেন।কাজু বাদাম থেকে কীভাবে ফেনি হয় সেটাও এখানে দেখানো হয়।
সানগিউম তালুকের এই পুকুরটি এক আশ্চর্য স্থান। এখানে এসে জোরে তালি বাজালে বা ঘাটের সিঁড়িতে জোরে পা ফেললেই জল থেকে বুদবুদ উঠতে শুরু করে। দেখতে যেমন মজা লাগে তেমনিই অদ্ভুত। এটা হয় কারণ এখানে জলের তলায় সবুজ গাছের নীচে লুকিয়ে আছে মিথেন গ্যাস। সামান্য আঘাতেই যা বেরিয়ে আসতে শুরু করে। এই লেকে পা ডুবিয়ে মাছেদের দিয়ে পেডিকিওরও করে নিতে পারেন আপনি।
এটি অবস্থিত উত্তর পূর্ব গোয়ার কর্ণাটক - মহারাষ্ট্র সীমান্তে। চোরলা একটি ঘন ট্রপিকাল অরণ্য। যারা ইকো ট্যুরিজম পছন্দ করেন তাঁদের চোরলা ভাল লাগবে।
একসময় এটিও ছিল পর্তুগিজ ভিলা যা এখন একটি হোটেলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এখানে থাকতে হলে বুকিং এর জন্য ক্লিক করুন।
এটা ঠিক যে দুধসাগরের মতো উচ্ছ্বল ও বিশাল জলপ্রপাত এটা নয়, কিন্তু কিছুটা সময় একান্তে কাটানোর জন্য এই ৫০ মিটারের জলপ্রপাত বেশ ভাল। জলপ্রপাতের কাছাকাছি রয়েছে রুদ্রেশ্বর মন্দির ও আরভালেম গুহা, যা চট করে ঘুরে আসা যায়।
গোয়ার প্রাগৈতিহাসিক জীবনের এক ঝলক পাওয়া যায়, বিশেষ করে মহাভারতের পাণ্ডবদের। এই গুহাগুলো বিচোলিম থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বেশিদিন হয়নি এই গুহা আবিষ্কার হয়েছে। বলা হয় অজ্ঞাতবাসের সময় পাণ্ডবরা এখানে লুকিয়ে ছিলেন।
কোরাও দ্বীপে এই স্যাংচুইয়ারি অবস্থিত। রিবান্দার থেকে ফেরি করে এখানে যাওয়া যায়। শীতকালে এখানে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে পাখিরা আসে। বিখ্যাত পক্ষিবিদ শ্রী সেলিম আলির নামে এই স্যাংচুয়ারি।
খুব নির্জন একটা সৈকত। সাদা বালি আর নদীর সঙ্গে আরব সাগরের মিলন দেখতে চাইলে এখানে আসতে হবে। এটি গোয়ার সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত।
এখানে টিরাকোল বলে একটি দুর্গ আছে যেটি এখন একটি রেসর্ট।
ভারত মহাসাগর সংলগ্ন এই ১৭ শতকের পর্তুগিজ কেল্লা এখন একটি হেরিটেজ হোটেল। এখানে সাতটি ঘর আছে যা একেকটি দিনের নামে করা হয়েছে। সুস্বাদু গোয়ানিজ খাবার আর অপূর্ব সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় দেখতে হলে এখানে থাকতে হবে।
টিরাকোলে থাকতে হলে এখানে ক্লিক করুন
অনেকেই জানেন না যে গোয়ায় কিছু বৌদ্ধ সংস্কৃতির ধ্বংসাবশেষও আছে। রিভোনা গুহা ল্যাটেরাইট দিয়ে তৈরি আর ভূমিস্পর্শ মুদ্রায় বুদ্ধের মূর্তি আছে, যা মহাযান বৌদ্ধ ধর্মের দিকে ইঙ্গিত করে। গুহার ভিতরে পাথরের দেওয়ালে আছে কদম্ব সিংহ।
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যাবহার করুন
(এটি একটি অনুবাদকৃত আর্টিকেল। আসল আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন!)