ভারতবর্ষে কোভিড পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। জনমানসে একদিকে যেমন সচেতনতা বেড়েছে, তেমনই পর্যাপ্ত পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্যবিধি পালনের মধ্যে দিয়ে কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যাকে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ জুড়েই দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং অঞ্চল থেকে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কিত উদ্বেগজনক ছবিটা আমাদের সামনে উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে দিল্লি, গুজরাতে আক্রান্তের সংখ্যার বেশ আশঙ্কাজনক। দুই রাজ্যের তরফেই উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, দিল্লির ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং মাস্ক ব্যবহার না করলে আইনবিধি মেনে জরিমানা নেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গুজরাতের বিভিন্ন জেলাতেও নাইট কারফিউ এবং অন্যান্য ব্যবস্থার মাধ্যমে আক্রান্তের সংখ্যা যতটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুসারে এই নাইট কারফিউয়ের তালিকাতে সংযোজিত হয়েছে হিমাচল প্রদেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল... শিমলার বেশ কয়েকটি অঞ্চলের পাশাপাশি নাইট কারফিউ লাঘু করা হয়েছে কাংরা, কুলু এবং মান্ডিতে। এইসব জায়গাতে সন্ধে ৮টা থেকে পরেরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যসরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মাস্ক ব্যবহার না করলে প্রায় ১০০০টাকা মতো জরিমানা করা হবে। সকল সরকারি অফিস প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুল এবং কলেজ আগামি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে হিমাচলের রাজ্য প্রশাসনের তরফে।
প্রসঙ্গত শীতকালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে অনেকেই বেশ আশঙ্কা করছিলেন, সেই আশঙ্কা যাতে সত্যি না হয়, তাই আগে-ভাগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথেষ্ট প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে কেন্দ্র সরকার এবং বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য সরকারের তরফে।