
উত্তর 24 পরগনার অন্যতম সৌন্দর্য বলতে বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য তথা পারমাদান।পাখি দেখার পাশাপাশি,পিকনিক করা,নৌকা ভ্রমন,নীলকুঠির ছমছমে রহস্যময়তা সব কিছুর মেলবন্ধন আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

ইছামতীর পাড়ে হাওয়া খেতে খেতে এই অভয়ারণ্যটি পায়ে হেঁটে ঘুরে নিতে পারেন,তা এমনি পিকনিক মেজাজেই হোক অথবা কাছাকাছি ডে-আউট হিসাবেই।চাইলে অরন্য দপ্তরের লজেও একটা দিন নির্ভেজাল কাটাতে পারেন,সেটার জন্য অবশ্যই আগে থেকে বন দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।তবে আপাতত সরকারি এই লজে বুকিং বন্ধ আছে।

হরিণ,ময়ূর,মাছরাঙা,মৌটুসী দের নিয়ে অর্জুন,শিশু,তুঁত,বাঁশবনে ঘেরা ইছামতীর বুকে নৌকাভ্রমন আর ওপারে ভাঙা নীলকুঠির স্বাদ এক আলতো দিনে অন্য মাত্রা যোগ করবে।এখন তো এই কুঠির পাড়ে রাতের বেলা থাকা খাওয়া ও ক্যাম্পিংয়ের সুযোগ রয়েছে।তাতে আপনি নদীর হাওয়ায় আপনার সাহসী মন কে রাতে একবার দুলিয়েও নিতে পারবেন।হাতে সময় থাকলে অরণ্য যাত্রার পাশাপাশি বনগাঁর পেট্রাপোল বর্ডারে বিকেলের কুচকাওয়াজেও সামিল হতে পারবেন।বিকেল 4.30-5.30টার এই কুচকাওয়াজ এক অনন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ে আপনাকে সাহায্য করবে।

★শিয়ালদহ -বনগাঁ শাখা অথবা রানাঘাট-বনগাঁ লাইনের অন্তিম স্টেশন বনগাঁয় নেমে অটো বা টোটোয় মতিগঞ্জ,সেখান থেকে আবার অটোয় কলমবাগান।তার পর এখান থেকে ম্যাজিক গাড়ি বা অটোতে সোজা পারমাদান। বনগাঁ স্টেশন থেকে পারমাদান ২৫ কিলোমিটার। এই সূত্রে বলে রাখা ভালো যে যদি গ্রুপে যান,তাহলে একেবারেই মতিগঞ্জ থেকে অটো বুক করে নেবেন পারমাদান অবধি,৩৫০-৪০০ টাকায় পুরো অটো রিজার্ভ করতে পারবেন,এতে সময় বাঁচবে,এবং ফেরার জন্য সেই অটোরই নাম্বার নিয়ে রাখাটাই বেস্ট।নাহলে আসার সময় যানবাহন আপনি একটু দেরি হলেও পাবেন।

★পিকনিক ও করতে পারেন,আলাদা প্লট আছে।এছাড়া বাড়ি অথবা বাইরে থেকে খাবার ও নিয়ে গিয়ে খেতে পারেন।কারন গেটের বাইরের খাবারের মান লাঞ্চের জন্য আপ টু দা মার্ক নয়।তবে ব্রেকফাস্টের লুচি, পরোটা অথবা ডিম-টোস্ট এখান থেকে আপনি খেতেই পারেন,বেশ ভালো।
ঘুরে জঙ্গল দেখে আপনি ইছামতীর পাড়ে এসে ২০/৩০/৫০ টাকার বিনিময়ে(একজন -দুজনের এক ঘণ্টার হিসেব) ওপারে নীলকুঠি ঘুরে আসতে পারেন।অথবা বড়ো গ্রুপ হলে রিজার্ভ ও করে নিতে পারেন।

★অভয়ারণ্যের মধ্যেকার অরন্য দপ্তরের লজ ইদানিং বন্ধ আছে।এটা ছাড়া কিছু নীলকুঠির পাশের ক্যাম্পিং এর ব্যবস্থা করে ইসিফিসো ব্যাকপ্যাকারস ক্যাম্প।এইখানে এদের আরও বাকি তথ্যগুলিও পাবেন।
www.izifiso.com
তাহলে আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়ুন পারমাদানের উদ্দেশ্যে,হালকা ভাবে ভেসে বেড়ান ইছামতীর কোলে,অথবা বেছে নিন নীলকুঠির সাথে একটি নিঝুম রাত।




