কলকাতাবাসীরা কলকাতা বলতে শুধুই বোঝেন রসগোল্লা, মাছ, দূর্গাপুজো, ইত্যাদি। শুধুমাত্র এই কারণেই বাঙালি প্রাণ নিজেকে কলকাতা ছাড়া করতে চান না । বাঙালিদের প্রাণের শহর হলেও এই ১০টি কারণে কলকাতা ভ্রমণ নাকচ করে দেওয়াই ভাল -
১. কলকাতা ভারতের প্রাচীন শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। ব্রিটিশ শাসনের আমলে এই শহরটি রাজধানী শহর হিসেবে পরিচিত ছিল । বাঙালি তথা কলকাতাবাসীরা সেই প্রাচীনত্বকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে ভালোবাসে।
২. কলকাতার ভ্রমণস্থানগুলির মধ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সহ বেশিরভাগ স্থানই স্মৃতিস্তম্ভ, মন্দির,বা মিউজিয়াম ইত্যাদি । ভ্রমণপিপাসু মানুষ কেনই বা কলকাতা ভ্রমণের প্রতি আগ্রহী হবেন?
৩. কলকাতার পথঘাট সর্বদা ট্রাফিকে পরিপূর্ণ থাকে। যানজট বহুল পথঘাট আর সিগন্যালে আটক থেকেই অনেকটা সময় কেটে যায়।
৪. যে কোনও বড়ো শহরের মতো কলকাতা শহর ও বেশ জনবহুল। আর তাছাড়াও এই শহর ব্যস্ততম শহর হিসেবেও পরিচিত। কিন্তু পর্যটকরা সাধারণত ভ্রমণের জন্য নিলিবিলি শান্তিপ্রিয় স্থান পছন্দ করেন। তাই জনতার ভিড়ে হারানোর সম্ভাবনা থেকেই যায়।
৫. যে কোনও উৎসবে বাঙালিরা উৎসবে মাতোয়ারা হতে ভালোবাসেন। একজোট হয়ে দূর্গাপুজো সেলেব্রেশন থেকে দোলে আবিরে রাঙা হতে পছন্দ করেন।
৬. কলকাতার মানুষজন রসগোল্লা সন্দেশ ইত্যাদি মিষ্টান্ন থেকে শুরু করে মাছে ভাতে থাকতেই ভালোবাসেন । আর কলকাতাবাসীরা বেশিভাগই আমিষভোজী হন।
৭. কলকাতা শহরের কিছু কিছু অংশেই নাইটক্লাব বা পাব এর ব্যবস্থা রয়েছে। ভারতের অন্যান্য শহরের মতো এখানে সমস্ত শহর জুড়ে নাইটলাইফ উপভোগ করার জন্য এখানে তেমন নাইট ক্লাব বা পাব নেই বললেই চলে।
৮. কলকাতায় সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের অন্ত নেই। অন্যান্য শহরের মতো এখানে লাইভ মিউজিকের ব্যবস্থা আছে, তবে নির্দিষ্ট স্থানেই এই ধরণের লাইভ মিউজিকের ব্যবস্থাপনা রয়েছে।
৯. বাঙালিরা চা-বিপণীতে আড্ডা দিতে কিংবা এই চা সহযোগে বৈঠক দিতে খুব বেশি পছন্দ করেন।
১০. ভারতের অন্যান্য মেট্রো সিটির তুলনায় কলকাতা শহর একটু আলাদা। এখানে আপনি মেট্রো ছাড়াও কলকাতার হাতে টানা রিক্সা, ট্রাম, এবং হলুদ ট্যাক্সির সন্ধান পাবেন।
প্রকৃতপক্ষে কলকাতা শহর তার ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরেই বেঁচে থাকতে চায় । বাহ্যিকভাবে এই শহর কে প্রাচীনপন্থী মনে হলেও বাঙালি প্রাণের শহর কলকাতার আবেগ, নস্টালজিয়া এবং ইতিহাসকে সঠিক মর্মে বোঝার ক্ষমতা একমাত্র যথার্থ ভ্রমণপিপাসু মানুষের মধ্যেই রয়েছে । কলকাতা শহরের সাথে সঠিক ভাবে পরিচয় করতে, এই শহর ভ্রমণের জন্য আগাম আমন্ত্রণ রইল।