উত্তরাখণ্ডের পরিচিতি হিমালয়ের আঁতুড়ঘর, দেবদেবীদের ক্রীড়াভূমি হিসাবে। কী, বিশ্বাস করছেন না? তুষারে ঢাকা পর্বতচূড়া, শীতল পাহাড়ি নদীর প্রবাহ, সবুজে ঢাকা উপত্যকায় মেহনতি মানুষদের দিন কাটানো, আর স্থানীয়দের হাসি খুশি স্বভাব। সব মিলিয়ে উত্তরাখণ্ডের ডাক অবহেলা করার ক্ষমতা আমাদের নেই। যত দূরেই থাকুন না কেন, যত ব্যস্তই হোক না আপনার দিন, পাহাড়ের এই ডাক একবার মর্মে স্পর্শ করলে সেই সম্মোহনী আপ্যায়নকে অগ্রাহ্য করার কথা আমরা চিন্তাই করতে পারি না। ট্যুরিস্ট হন বা ট্র্যাভেলার, এক টুকরো উত্তরাখণ্ড কিন্তু প্রস্তুত সবাই কে আপন করে নিতে। দেখে নি, উত্তরাখণ্ডের এমন কয়েকটি অল্প পরিচিত অফবিট জায়গা, যা জীবদ্দশায় যেতেই হবে আমাদের।
সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ৩০২৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত নাগ টিব্বা বা সর্পচূড়া, দিল্লি থেকে উইকেন্ডে ট্র্যাভেলের ক্ষেত্রে আদর্শ। বান্দারপুছ শৃঙ্গ আর গঙ্গোত্রী পর্বতমালার অসাধারণ দৃশ্য দেখতে হলে চলে আসুন এখানে।
উত্তরাখণ্ডের পাউরি পর্যটকদের কাছে বেশ বিখ্যাত, আর সেই পাউরি থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরেই, ওক, দেবদারু আর আপেল বাগানে ঘেরা খিরসুর অবস্থান। এই শান্ত হিল স্টেশনটি যেন এক টুকরো শান্তির আশ্রয়, যেখান থেকে পাবেন চারিদিকের পর্বতমালার অসাধারণ ভিউ।
মুক্তেশ্বর থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে, সমুদ্রপৃষ্ঠের থেকে ৬৬০০ ফিট উচ্চতায়, পেওড়া যেন সত্যি এক স্বপ্নপুরী। রূপকথার জাদুরাজ্যের মতোই পেওড়া এখনও যেন সভ্যতার আড়ালে লুকিয়ে, পবিত্র। বনানীর মধ্যে দিয়ে একলা হেঁটে যাওয়া, পারিপার্শ্বিক শান্তির মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলে নিজের সঙ্গে কিছু সময় কাটাতে চাইলে পেওড়াই হোক আপনার আগামী গন্তব্য।
চম্পাওয়াত জেলার এক কোণে অবস্থিত লোহাঘাটের ঐতিহাসিক এবং মাইথোলজিকাল গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু পাইন, ওক আর রোডোডেনড্রোন গাছে ঘেরা এই সবুজ পাহাড়ি উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কোনওভাবেই উপেক্ষণীয় নয়।
পিথোড়গড় জেলার গঙ্গোলিহাট ঠিক যেন হিমালয়ের কোলে আশ্রিত ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। যদি গতে বাধা জনপ্রিয় জায়গাগুলির ঘেরাটোপ এড়িয়ে নিজের মত করে খুঁজে নিতে চান পাহাড়ি গ্রাম্য প্রকৃতির নিজস্ব রূপ, তাহলে গঙ্গোলিহাট রইল আপনার অপেক্ষায়।
ঘন জঙ্গলে আচ্ছাদিত দুধতাওলি প্রায় ৩১০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামাঞ্চল, যা বিগত কয়েক বছরে পর্যটকদের প্রিয় হয়ে উঠছে। ওয়াইল্ডলাইফ বা বার্ডওয়াচিং করার ইচ্ছে থাকলে দুধতাওলি হয়ে উঠতে পারে উত্তরাখণ্ডে আপনার পরবর্তী ঠিকানা।
হিন্দু পূরাণের সঙ্গে আদ্যোপান্তভাবে জড়িয়ে রয়েছে চামোলি, আর থাকে ঘিরে রয়েছে চোপটা, আউলি আর হেমকুণ্ড সাহিব। চামোলি পরিচিত ঈশ্বরের বাসস্থান রূপে। আবার এই চামোলি থেকেই পথ চলা শুরু হয়েছিল চিপকো আন্দোলনের। গারওয়াল সংস্কৃতির অতিথ্যের স্বাদ নিতে চাইলে আসতেই হবে চামোলি।
না হিমাচল প্রদেশের নয়, এ হল উত্তরাখণ্ডের নিজস্ব চাম্বা। তেহরি জেলার এই চাম্বার উদ্দ্যেশে ছুটে আসেন সেইসব পর্যটক, যাদের লক্ষ্য হিমালয়ের কোলে নিভৃতে একাকী ভ্রমণ।
চারিদিকে আপেল বাগান, আর পাইন গাছের আড়ালে ৮৫০০ ফিট উচ্চতায় লুকিয়ে থাকা কানাতাল যেন এক বিস্মৃত সব পেয়েছির দেশ। ট্যুরিস্টদের ভিড়ভাট্টার থেকে আড়ালে, অনির্বচনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঠিকানা নিঃশব্দের কানাতাল
দিদিহাট
পিথোড়গড়ের আরেক অফবিট জায়গা হল দিদিহাট। দিদিহাট নামের মনে হল ছোট্ট পাহাড়ি টিলা। পাহাড়ি গাছপালা আর জীবজন্তু পরিবেষ্টিত এই দিদিহাট অল্পসময়েই হয়ে উঠেছে পর্যটকদের প্রিয়। প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিবিড়ভাবে যদি পাহাড়ী সৌন্দর্যের ইশারায় পা বাড়াতে চান, তাহলে দিদিহাট হয়ে উঠুক আপনার আগামী ডেস্টিনেশন।
ব্যাস, তাহলে আর অপেক্ষা কীসের? পর্যটকদের ভিড় বেড়ে যাওয়ার আগেই ব্যাকপ্যাক কাঁধে বেড়িয়ে পরুন উত্তরাখণ্ডের উদ্দ্যেশে!
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।
(এটি একটি অনুবাদকৃত আর্টিকেল। আসল আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন!)