যারা অরুণাচলপ্রদেশ গিয়েছেন বা যারা যাননি দুপক্ষই জানেন যে এখানকার সৌন্দর্য ঠিক কতটা। সম্প্রতি একটি হিন্দি ছবির শুটিং হয়েছে এখানে। বলিউডের তারকারাও হাঁ হয়ে গিয়েছেন অরুণাচল দেখে। প্রকৃতিপ্রেমীরা তো বটেই, যারা উপজাতিদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে আত্মিক যোগ বোধ করেন, তাঁদেরও ভালো লাগবে এই জায়গা। কারণ এখানকার গালো উপজাতিরা পালন করেন এক অনন্য উৎসব যার নাম বাস্কন উৎসব।
কেমন হয় এই উৎসব?
আগেই বলেছি এখানকার গালো উপজাতিরা এই উৎসব পালন করেন। এই উৎসব তিন দিন ধরে পালিত হয় এবং স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই ব্যাপারে সাহায্য করে। এই উৎসব আদতে পুরাতনের সঙ্গে নতুনের এক মিলনমেলা। ঐতিহ্যশালী নাচ থেকে শুরু করে আধুনিক পপ গান, গল্প বলা, নৃত্যনাট্য, লোকশিল্প এবং নানা রকমের খেলাধুলো এখানে হয়ে থাকে। আসলে যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই উৎসবের নেপথ্যে আছে, তাঁরা চান যে এখানে সাসটেনেবল পর্যটন গড়ে উঠুক আর তার সঙ্গে সঙ্গে রক্ষা পাক উপজাতিদের সংস্কৃতি।
এক ঝলকে বাস্কন
প্রথমে হয় গালো পোনু বা স্বাগতম নৃত্য।
নাইদা পারিক হল এখানকার উপজাতিদের বিয়ের সময়কার নাচ।
মেগা গালো হল সবচেয়ে বড় নাচের দলের পারফরমেন্স।
মোপিন বা শস্য দেবতার উদ্দেশ্যে নাচ।
লায়ন ডান্স করেন তাওয়াংয়ের শিল্পীরা। এটা অনেকটা চৈনিক নতুন বছর উদযাপনের মতো।
এছাড়াও হয় সবাই মিলে পুরাতন পদ্ধতিতে ঐতিহ্য মেনে মাছ ধরতে যাওয়া।
বিভিন্ন প্রকার নাচের মতো এখানে পালিত হয় কুস্তি, তির ছোড়া, দড়ি টানাটানির মতো খেলা।
কীভাবে যাবেন?
অরুণাচলের নতুন জেলা লেপা রাদায় অবস্থিত এই বাসার। এখানে আসতে গেলে আপনাকে আসামগামী ট্রেনে চাপতে হবে। আসামের শেষ গন্তব্য হল শিলাপাথর। এখান থেকে পাঁচ ঘণ্টা জার্নি করে আপনাকে বাসারে আসতে হবে। এখানকার রাস্তা খুব খারাপ। তাই চাইলে ব্রেক জার্নি করতে পারেন। অরুণাচলের আলোতে এসে এখান থেকেও বাসার আসতে পারেন।
যদি মনে করেন যে বিমানে আসবেন তাহলে আপনাকে ডিব্রুগড় আসতে হবে। সেখান থেকে গাড়িতে ভোগীবিল এসে ব্রহ্মপুত্র নদী পার হয়ে শিলাপাথরে এসে একইভাবে বাসার যেতে হবে।
এখানে এলে যা যা কোভিড বিধি মানতে হবে
অরুণাচলে এলে আপনাকে কোভিড নেগেটিভ হওয়ার প্রমাণপত্র এবং দুটি ভ্যাকসিনের প্রমাণপত্র নিয়ে আসতে হবে। ভ্যাকসিন নেওয়া না থাকলেও আসা যাবে। কিন্তু এখানে আসার তিন দিন আগে কোভিড পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। যদি পরীক্ষা না করে যান তাহলে ওখানে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে তবে ঢুকতে পারেন।
হোটেল বা রিসোর্টে আইসোলেশন বা কোয়ারেনটাইনের প্রয়োজন নেই। রাত আটটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ চলবে। ওইসময় হোটেলের বাইরে যাওয়া যাবে না। প্রত্যেক পর্যটককে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে। হোটেল খুলে গেলেও কিছু জায়গায় সাইট সিইং বন্ধ আছে। সেগুলো খোঁজ নিয়ে তবেই ট্যুর প্ল্যান করবেন।
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।