রাজ্যে আবার ৩০শে জুলাই অবধি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। আর তার মধ্যে সবচেয়ে খুশির খবর বাঙালির দীপুদা কিন্তু পুনঃরায় তার রং ফিরে পেয়েছে। কিছুদিন আগের বিধ্বংসী ঝড় যশের কারণে দীঘার অধিকাংশ অঞ্চল এবং উড়িষ্যার বেশ কিছু অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বর্তমানে তা পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে পর্যটকদের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
করোনা আবহের আগের বছর থেকে বহু মানুষ গৃহবন্দি দশায় তাদের জীবন কাটাচ্ছে। কিন্তু কাজের ফাঁকে মন একটু অবসর চাই। আর সেই অবসর যে দু-এক দিনের জন্য দীঘার সমুদ্র সৈকত হয়; তাহলে তা মন্দ হয় না। সকাল বেলা সূর্যের দাবদাহের মধ্যে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে গা ভাসানো আর রাতের বেলা পূর্ণিমার আলোয় জোয়ারের জলে তার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়ার আনন্দ কিন্তু যে কোন বিদেশযাত্রাকেও হার মানায়। আর এইসব কথা মাথায় রেখে করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
• দীঘায় হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সমস্ত পর্যটকদের জন্য করোনা পরীক্ষার সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।
• দীঘায় শংকরপুর হোটেলিয়া অ্যাসোসিয়েশনের অফিস এবং একঘর-কামিনী ব্লক হেলথ সেন্টার নামে এই দুটি জায়গায় পর্যটকদের করোনা পরীক্ষা করা হবে।
• সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পর্যটকদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
• কোভিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হবে আর সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট পর্যটকদের হাতে দিয়ে দেওয়া হবে।
• এছাড়াও দীঘাতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে করোনার জন্য সতর্কবার্তা প্রদান করা হচ্ছে। তারা প্রত্যেক পর্যটক এবং বাসিন্দাদের মাস্ক পড়তে অনুরোধ করছেন এবং সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখতে বলেছেন।
শুধু তাই নয় পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পর্যটকদের ডাবল ডোজ কোভিড ভ্যাকসিনেশনের সার্টিফিকেট ছাড়া কোন হোটেলে বা লজে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
এ তো গেল সমুদ্রের কথা। এবার দেখে নেওয়া যাক পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য কোন কোন নতুন নিয়ম সংযোজন করা হয়েছে।
ক’দিন আগে আংশিক লকডাউনের শিথিলতা দেখা দিলে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়তে দেখা যায় দার্জিলিঙে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের মধ্যে করোনার কোনও সচেতনতা দেখতে পাওয়া যায় না। ফলত, নতুনভাবে দার্জিলিং এবং সিকিমের পর্যটকদের জন্য নতুন বিধি-নিষেধ তৈরি করা হয়েছে।
• প্রবেশের পূর্বে ডবল ডোজ ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট লাগবে।
• অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিয়ার টেস্টর নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে।
• সঙ্গে মাক্স এবং স্যানিটাইজার রাখা আবশ্যিক।
সরকারের তরফ থেকে মনে করা হচ্ছে এই সমস্ত বিধি-নিষেধের ফলে হয়তো কিছুটা হলেও পর্যটকদের সংখ্যা হ্রাস পাবে। তার ফলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম দেখা দেবে।
তাহলে বন্দি জীবন থেকে মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করতে এই জায়গাগুলি আপনারা অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন। তবে উপরিউক্ত নিয়মাবলীগুলি পালন করা আবশ্যিক।