ছোটবেলা থেকে প্রতিটি শিশু স্বপ্ন দেখে আকাশ ছোঁয়ার। বড় হওয়ার সাথে সাথে সেই স্বপ্নগুলো পূরণের ইচ্ছা আরও দ্বিগুন আকার নেয়। এরপর জীবনের একটা সময় সেই উঁচুতলা বিল্ডিংগুলি থেকে যখন আকাশকে স্পর্শ করা যায়, তখন যেন জীবনের অর্থটাই বদলে যায়। তবে শুধু নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নয়, নিজের শখ পূরণের জন্যও কেউ কেউ কখনও কখনও বহুতলা উচ্চতা বিশিষ্ট বাড়িগুলিতে ঘুরতে যান।
আজ ৩রা সেপ্টেম্বর, গগনচুম্বী অট্টালিকা দিবস অর্থাৎ ইংরেজিতে যাকে বলে স্কাইস্ক্যাপার ডে-তে ঠিক এইরকমই কিছু গগনচুম্বী ভবনের উদাহরণ দেবো।
গগনচুম্বী অট্টালিকা দিবস কী?
বলা হয়, লুইস এইচ. সুল্লিভান নামে এক বিশেষ ব্যক্তি, যিনি সারা বিশ্বে গগনচুম্বী ভবনের জনক হিসেবে পরিচিত তাঁর জন্মদিনে তাঁকে সম্মান জানাতে এই দিনটি গগনচুম্বী অট্টালিকা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৮৮০ সালের শেষ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এই গগনচুম্বী শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এই বহুতল বিশিষ্ট বাড়ি গুলি আজও মানুষের কাছে এক বিস্ময় সৃষ্টি করে। গিনেস বিশ্ব রেকর্ড অনুযায়ী ১৮৮৫ সালে শিকাগোতে এইরকম আকাশচুম্বী ভবন প্রথম তৈরি করা হয়, যার স্থপতিকার ছিলেন মেজর উইলিয়াম লেবারন জেনি।
কিছু গগনচুম্বী ভবনের দৃষ্টান্ত-
• দ্যা বুর্জ খালিফা (দুবাই)
• সাংহাই টাওয়ার (চায়না)
• দ্যা এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং (নিউ ইয়র্ক)
• লটি ওয়ার্ল্ড টাওয়ার (দক্ষিণ কোরিয়া)
• ডংগুয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার (চায়না)
আকাশ আর সমুদ্র যেখানে দিগন্তরেখা তৈরি করে, সেই জায়গাটি দেখার ইচ্ছা হয়তো অনেকের থেকে যায়, যা সম্ভব হয় না। কিন্তু এই আকাশচুম্বী ভবন করে থেকে আকাশকে স্পর্শ করার অনুভূতিটুকু কিন্তু অনায়াসে লাভ করা যায়। তাই যদি কখনও সুযোগ হয় এই জায়গাগুলি থেকে একবারে অবশ্যই ঘুরে আসবেন।