পৌরাণিক শহর অযোধ্যা ভারতবাসীর কাছে একটি পবিত্র স্থান হিসেবেই পরিচিত। পৌরাণিক গাথার সাথে ঐতিহাসিক কাহিনির যুগ্ম মিলনে এই স্থানটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ভ্রমণস্থানে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে উত্তর প্রদেশ সরকার কর্তৃপক্ষ এই পবিত্র স্থানটিকে পর্যটনের কারণে আরও নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। আর সেই কারণেই অযোধ্যার বিখ্যাত সরজু নদীতে রামায়ণ ক্রুজ পরিষেবার সূচনা করছেন।
কেন এই ক্রুজ পরিষেবার পরিকল্পনা করা হল?
উত্তর প্রদেশ সরকার কর্তৃপক্ষ একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, রামায়ণ ক্রুজ সার্ভিসটির জন্য অযোধ্যাতে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে ফলে এই শহরের পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, বছর তিনেক আগে অলকানন্দা ক্রুজলাইন নামক সংস্থার দ্বারা বারাণসীতেও একটি বিলাসবহুল ক্রুজের আয়োজন করা হয়েছিল। বারাণসীতে এই ক্রুজ সার্ভিসটি বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল। সম্ভবত সেই কারণেই অযোধ্যাতেও এই ধরণের বিলাসবহুল ক্রুজের আয়োজন করা হচ্ছে।
রামায়ণ ক্রুজ সার্ভিস
রামায়ণ ক্রুজ সার্ভিসটি ও অলকানন্দা ক্রুজলাইন সংস্থার সহায়তায় চালু করা হচ্ছে। অলকানন্দা ক্রুজলাইনের ডিরেক্টর বিকাশ মালভিয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই প্রথমবার অযোধ্যার পবিত্র সরজু নদীতে এই ধরণের বিলাসবহুল ক্রুজ চালু করা হচ্ছে। তাঁর মতে, এই ক্রুজ সার্ভিসটি একটি অভুতপূর্ব তীর্থযাত্রার সাক্ষী হয়ে উঠবে। এই ক্রুজে সমস্ত রকম আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং বিলাসীয় ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে ও বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে। এই ক্রুজের অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রেও রামচরিতমানস থিম এবং বিশাল কাচের জানলা ব্যবহার করা হয়েছে। তাই নির্মাতাগণ আশাবাদী যে, পর্যটকরা রাম রাজত্বকে উপভোগ করার সাথে সাথে অযোধ্যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দ্বারা ও মুগ্ধ হবেন ।
রামায়ণ ক্রুজের সাহায্যে কী কী দর্শন করতে পারবেন?
পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রায় ৯০ মিনিটের যাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। এই যাত্রাটির নামকরণ করা হয়েছে রাম চরিতমানস যাত্রা। ক্রুজের সাহায্যে পর্যটকরা সরজু নদী তীরবর্তী ঘাট যেমন - রাম ঘাট, লক্ষণ ঘাট, গুপ্তার ঘাট সহযোগে সমস্ত ঘাট ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
কবে থেকে এই রামায়ণ ক্রুজের সূচনা হবে?
সরকার কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, অযোধ্যায় এই ক্রুজ সার্ভিসটি নভেম্বর নাগাদ চালু হবে।
আশা করা যায়, এই নতুনত্ব প্রয়াসটি সকল তীর্থযাত্রীদের মুগ্ধ করবে।