গুজরাটের অধিবাসীদের জন্য আসতে চলেছে এক বিশাল সুখবর। আজ বিকাল ৪.৩০ মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাট রেলপথ সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। আর এই সবকিছুর নেপথ্যে রয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও এরসাথেই আরও বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী?
১. গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগরের রেলওয়ে স্টেশন পুনর্নবীকরণ-
গান্ধীনগর রেলস্টেশনটিকে পুনর্নবীকরণ করতে প্রায় ৭১ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। বর্তমানে এই রেল স্টেশনটি যে কোনও বিমানবন্দরের সমতুল্য বিশ্বমানের পরিষেবা প্রদান করবে। স্পেশাল টিকিট বুকিং কাউন্টার, লিফ্ট, গাড়ি রাখবার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও স্টেশন চত্বরে বিল্ডিংটি গ্রিন বিল্ডিং রেটিং ফিচারসের দ্বারা নকশায়িত।এছাড়াও স্টেশনটি প্রায় ৩২টি থিমভিত্তিক আলোক সজ্জায় সজ্জিত থাকবে; সঙ্গে পাঁচতারা হোটেলের ব্যবস্থা থাকবে।
২. ন্যারো গেজ লাইন বৈদ্যুতিক ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তরিত -মাহেশনা থেকে ভারেথা-
মাহেশনা থেকে ভারেথা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার ন্যারো গেজ লাইনটি প্রায় ২৯৩ কোটি টাকা খরচ করে বৈদ্যুতিক লাইনের পরিণত করা হল। বৈদ্যুতিকরণ কাজের জন্য প্রায় ৭৪ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এই লাইনে মোট ১০টি রেলস্টেশন থাকছে, যার মধ্যে ৪টি নতুন রেলস্টেশন সংযোগ করা হল। সেগুলি হল ভীষনগর, ভাদনগর, খেরালু, ভারেথা। ভাদনগর স্টেশনটিতে পাথরের খোদাই করা অপূর্ব এক নকশা দেখতে পাওয়া যাবে।
৩. অ্যাকোয়াটিক্স গ্যালারি-
বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণীদের আনা হয়েছে এবং তাদের দিয়ে একটি অ্যাকোরিয়াম তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের হাঙরদের নিয়ে এসে এখানে রাখা হয়েছে। এই গ্যালারির মধ্যে ২৮ মিটার লম্বা অনন্য একটি টানেল তৈরি করা হয়েছে, যা এখানে ঘুরতে আসা প্রত্যেক ভ্রমণকারীদের জন্য এক রোমাঞ্চকর পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
৪. সুরেন্দ্রনগরের বৈদ্যুতিকরণ (পিপাভাভ সেকশন)-
এই প্রকল্পটির দ্বারা পলানপুর, আমেদাবাদ ও দেশের বিভিন্ন অংশ এবং পিপাভাভ বন্দর পর্যন্ত নিয়মিত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পরিবহণ ও সরবরাহ করা হবে।
৫. রোবটিক্স গ্যালারি-
এটি এমন একটি ইন্টারেক্টিভ গ্যালারি যেখানে রোবটিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যের নমুনা দর্শনার্থীদের প্রবেশ করা হবে। গ্যালারি প্রবেশপথে ট্রান্সফর্মার রোবটের একটি বিশাল প্রতিরূপ স্থাপন করা হয়েছে। এই গ্যালারির অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু হল এখানে এক ধরনের মানবপ্রজাতির রোবট রয়েছে; যারা আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে। শুধু তাই নয় ; মানুষের মতো এরাও আবেগ প্রকাশে সক্ষম। চিকিৎসাক্ষেত্র, কৃষি, প্রতিরক্ষা দফতর, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের মতন বিভিন্ন রোবট এই গ্যালারি বিভিন্ন তলায় স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য এই জায়গাটি কিন্তু বেশ লোভনীয়।
৬. প্রাকৃতিক উদ্যান-
শিশুদের কাছে আজ খেলার সময় বড় কম। সারাদিন কম্পিউটার আর ফোনে মুখ গুঁজে পরে থাকে। সেই কথা মাথায় রেখেই মিস্ট গার্ডেন, চেস গার্ডেন, সেলফি পয়েন্ট, স্কাল্পচার পার্ক এবং বিভিন্ন গোলকধাঁধা সমন্বয় এই পার্কটিকে গড়ে তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর সাথে ম্যামথ, টেরর বার্ড, দাঁতওয়ালা বিশাল সিংহের মতো বিলুপ্ত প্রাণীর ভাস্কর্য রয়েছে, যা শিশুদের ভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রদান করবে।