প্রাগৈতিহাসিক যুগে গড়ে ওঠা এমন কিছু মন্দির রয়েছে, যার সন্ধান আজও আমরা করে উঠতে পারিনি। ঠিক সেই রকমই একটি মন্দির হল মুর্শিদাবাদ কান্দির বাগডাঙ্গার রাজরাজেশ্বরী মায়ের মন্দির। আজ আমরা এই মন্দিরের ইতিহাস সম্বন্ধে জেনে নেব।
মন্দিরের ইতিহাস-
জানা যায়, কান্দির রায়চৌধুরী বংশের প্রথম পুরুষ মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে রানী ভবানীর উদ্যোগে সোনার প্রতিমা তৈরি করে তা এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। রানী ভবানী মায়ের দুটি একই মূর্তি নির্মাণ করেন, যার একটি কান্দিতে এবং অন্যটি রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে মা রাজরাজেশ্বরীর সোনার প্রতিমাটি চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে অষ্টধাতুর প্রতিমা নির্মাণ করে পুজো পুজো করা হয়।
বর্তমানে শরৎকালের এবং বাসন্তী পুজোর সময় মাকে পুজো করা হয়। ফলাফল মিষ্টি এবং মাঝে মাঝে অন্নভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে রাতের বেলা লুচি ভোগ হিসাবে অর্পণ করা হয়। আগে মঙ্গলবার ও শনিবার এবং অবশ্যই পুজোয় বলি দেওয়া হত, যা বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সোনার দেবী মূর্তিতে পূজা দেবী মায়ের সর্বাঙ্গে রয়েছে সোনার অলংকার। দেবীর পায়ের কাছে রয়েছে ঘোড়ারুপী সিংহ এবং অসুর। নির্দিষ্ট দিনে মায়ের পোশাক পরিবর্তন করা হয়।
একচালা ছোট্ট মন্দিরটির সামনে রয়েছে বলি দেওয়ার জায়গা। মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে বহু পুরনো বাঁধানো একটি বেল গাছ। মন্দিরের পিছনে রয়েছে পুরনো প্রবেশদ্বার। আর সামনে রয়েছে শরবত পুকুর।
ঠিকানা-
বাগডাঙ্গা, কান্দি, মুর্শিদাবাদ।