বাংলার গ্রাম গঞ্জের এক আলাদা সৌন্দর্য আছে। এত সবুজের লালিমা খুব রাজ্যের গ্রামেই দেখা যায়। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি কাটাতে সবুজের মহিমা অপার। এই রঙ চোখ আর মন দুটোকেই শান্ত করে। ভাইরাসের চোখ রাঙানিতে বেশি দূর যেতে না পারলেও কলকাতার খুব কাছেই বর্ধমানের সিঙ্গি গ্রাম থেকে ঘুরে আসতেই পারেন।
কেন যাবেন সিঙ্গি?
ঝকঝকে নীল আকাশ, সবুজ ধানক্ষেত আর সাদা কাশফুলের বন এগুলো যদি আপনার খুব প্রিয় হয় তাহলে সিঙ্গি আপনার জন্য আদর্শ। কাশফুল অবশ্য সব সময় থাকে না। তবে যে সময় ফোটে অর্থাৎ পুজোর আগে, সেইসময় গেলে দেখা পাবেন। এখানে গরুরগাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। এই গাড়িতে করে গ্রাম ঘুরে দেখতে পারেন।
বাংলায় মহাভারত লিখেছিলেন কাশীরাম দাস। তাঁর জন্মভিটে হল এই সিঙ্গি। তাঁর বাড়ি দেখে আসতে পারেন। একটু এগিয়েই আছে বুড়ো শিবতলা। এখানে আছে ১৮ শতকের পুরনো নবরত্ন মন্দির।
আরও একটি দারুণ জিনিস এখানে আছে। এখানে আছে ইচ্ছাপূরণ বটবৃক্ষ। একবিংশ শতাব্দীতে হয়তো আপনি বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু গ্রামের মানুষদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই গাছের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু চাইলে সেই গাছ ফেরায় না।
যদি একদিন এখানে থাকবেন বলে ভেবে থাকেন তাহলে হাতে কিছুটা বাড়তি সময় পাবেন। দেখে আসতে পারেন ওড়িশার মন্দিরের আদলে তৈরি চন্দ্র পরিবারের টেরাকোটা মন্দির।
সিঙ্গির খুব কাছেই আছে পূর্বস্থলী। এখানে অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ হল পরিযায়ী পাখিদের আস্তানা। শীতকালে গেলে অনেক পাখির কলকাকলি আপনাকে মুগ্ধ করবে। রয়েছে ক্ষীরগ্রাম। এখানে আছে যোগাদ্যা দেবীর মন্দির।
কোথায় থাকবেন
শান্তিনিকেতন হোমস্টে। যোগাযোগ করুন ৭০৪৪৭৯১৪৩৬ এই নম্বরে।
কীভাবে যাবেন
হাওড়া থেকে পাটুলির লোকাল ট্রেন আছে। পাটুলি থেকে সিঙ্গি মাত্র ৭ কিলোমিটার। পাটুলি থেকে অটো পাওয়া যায়।
যদি নিজের গাড়িতে আসেন তাহলে শ্যামবাজার-ডানলপ-ডানকুনি-মেমারি- সাতগাছিয়া-মন্ত্বেশ্বর হয়ে সিঙ্গি আসতে পারেন।
এছাড়া শ্যামবাজার থেকে ব্যারাকপুর-কল্যাণী-কালনা-নবদ্বীপ-পূর্বস্থলী হয়ে সিঙ্গি আসতে পারেন। তবে দ্বিতীয় রুটে সময় একটু বেশি লাগবে।
কখন যাওয়া যায়
যে কোনও সময়ে যাওয়া যায়। তবে শীতকাল ও শরতকাল হল সেরা সময়।
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।