গুজরাটের অন্যতম প্রধান শহর হল - আমেদাবাদ। গুজরাটে ভ্রমণস্থান হিসেবে বাঙালিরা সাধারণত কচ্ছের রণ, সোমনাথ মন্দির, দ্বারকা, গির অভয়ারণ্য এগুলিকেই বেছে নেন। তবে এর সাথে আমেদাবাদ শহরের কাছাকাছি কম পরিচিত ভ্রমণস্থানগুলি ও কিন্ত বেশ প্রশংসনীয়।
আমেদাবাদের অপরিচিত ভ্রমণস্থান -
১. জানজারী জলপ্রপাত
প্রকৃতির সিন্গ্ধতাকে উপভোগ করার জন্য এই জলপ্রপাত দর্শন করে নিতে পারেন। প্রায় ২৫ ফিট উচ্চতা সম্পন্ন এই জলপ্রপাতটি দেহগামের ভাত্রাক নদীর কাছে অবস্থিত। এখানে প্রকৃতির শান্তরূপের সাথে জলপ্রপাতের মূর্ছনা মিলিয়ে একটা স্বর্গীয় আমেজের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও এখানে একটা শিব মন্দির ও পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য ক্যামেল সাফারির ও ব্যবস্থা আছে।
আমেদাবাদ শহর থেকে জানজারী জলপ্রপাতের দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিমি।
২. সারখেজ রোজা
প্রকৃতপক্ষে সারখেজ রোজা হলো একটি মসজিদ। এই মসজিদটি ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের অনবদ্য নিদর্শন।আপাতদৃষ্টিতে এটি দেখতে অনেকটা রাজপ্রাসাদের আদলে।
সারখেজ রোজা আমেদাবাদ শহর থেকে ৭কিমি দূরে মাকার্বা গ্রামে অবস্থিত।
৩. মধেরা
মধেরা একটি প্রাচীন গ্রাম, আর এই গ্রামের প্রধান আকর্ষণ হল-চালুক্য সাম্রাজ্যে নির্মিত সূর্য মন্দির। এই ঐতিহাসিক গ্রামটি একসময় আধ্যাত্মিকতা এবং সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত ছিল। আজও এই মন্দিরের স্থাপত্যরীতি এবং ইতিহাস পর্যটকদের সমান ভাবে অভিভূত করে।
আমেদাবাদ শহর থেকে মধেরার দূরত্ব প্রায় ১০০ কিমি।
৪. লোথাল
হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। এই হরপ্পা সভ্যতার সময়কালে পরিকল্পনা করে লোথাল শহর নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এই শহরের সম্পূর্ণটাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসকে খালি চোখে দেখতে চাইলে একটা প্ল্যান করে পৌঁছে যেতে পারেন। প্রাচীনকালে ব্যবহার্য জিনিসপত্র এখানকার মিউজিয়ামে আজও যত্নসহকারে সংরক্ষিত আছে।
আমেদাবাদ শহর থেকে লোথালের দূরত্ব ৭৮ কিমি।
৫. ভাদলা
আপনি যদি একটু নিলিবিলি জায়গা পছন্দ করেন তাহলে পৌঁছে যেতে পারেন ভাদলা। এই জলা জায়গাটি পরিযায়ী পাখীদের বাসস্থান বলা যেতে পারে। এই স্থানটি এখনও পর্যটকদের নজরের আওতাভুক্ত হতে পারেনি। তাই আজও এখানে প্রকৃতির কোমলতার সাম্য বজায় রয়েছে ।
আমেদাবাদ থেকে ভাদলার দূরত্ব ৮৪ কিমি।
৬.অক্ষরধাম মন্দির
গুজরাটের রাজধানী শহর গান্ধীনগরে অবস্থিত এই মন্দিরটি ভারতের বৃহত্তম মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম। এই মন্দিরের মুখ্য দেবতা হলেন ভগবান স্বামীনারায়ণ। মন্দির সংলগ্ন একটি মিউজিয়ামও রয়েছে, যেখানে ভগবান স্বামীনারায়ণ এবং এই মন্দির সংক্রান্ত অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন।
আমেদাবাদ শহর থেকে এই মন্দিরের দূরত্ব ৩০ কিমি।
৭. কাঙ্কারিয়া লেক
এই লেকটি আমেদাবাদ শহরের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক হিসেবে পরিচিত। প্রায় ১৫শতকে নির্মিত এই লেকটি একসময় হজ-ই - কুতুব নামে পরিচিত ছিল। পর্যটনের উদ্দেশ্যে ২০০৮ সালে এই লেকটির আধুনিকীকরণ করা হয় ।এখানে দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন ধরণের অ্যাক্টিভিটিরও ব্যবস্থা রয়েছে।
আমেদাবাদ শহর থেকে কাঙ্কারিয়া লেকের দূরত্ব মাত্র ৮ কিমি।
তাহলে এবার থেকে গুজরাট ভ্রমণে এসে আপনি কী আমেদাবাদ শহর
দর্শন মিস করতে চাইবেন?