দিনাজপুর জেলার কুশমান্ডি গ্রামটি সত্যিই বড় অন্যরকমের সুন্দর !

Tripoto
Photo of দিনাজপুর জেলার কুশমান্ডি গ্রামটি সত্যিই বড় অন্যরকমের সুন্দর ! 1/7 by Doyel Banerjee

দিনাজপুর জেলার কুশমান্ডি গ্রামের খ্যাতি কাঠের মুখোশ তৈরির জন্য। স্থানীয় ভাষায় এই মুখোশকে বলা হয় মুখ। কুশমান্ডি মুখোশও বলা হয় এই শিল্পকে। শিল্পীরা প্রধানত থাকেন মহিষবাথান গ্রামে। এখানকার শিল্পীদের সাহায্য করে ইউনেস্কো।

মুখোশের আড়ালে

Photo of দিনাজপুর জেলার কুশমান্ডি গ্রামটি সত্যিই বড় অন্যরকমের সুন্দর ! 2/7 by Doyel Banerjee

দিনাজপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজিত হয় এখানকার লোকনৃত্য গোমিরা। সেই নাচের জন্য যে মুখোশ লাগে সেটাই তৈরি করেন এই গ্রামের মানুষ। গোমিরা নাচ আয়োজিত হয় দেব দেবীদের তুষ্ট করার জন্য। মূলত গ্রামের পুরুষ শিল্পীরাই গামার গাছের কাঠ থেকে এই মুখোশ তৈরি করেন। মহিলাদের এই ব্যাপারে সাহায্য করতে দেখা যায়না। সম্ভবত গামার কাঠ হাল্কা বলেই সেটা বেছে নেওয়া হয়। প্রথম দিকে বিভিন্ন ফুল ও ফল থেকে নিঃসৃত প্রাকৃতিক রঙ দিয়েই এই মুখোশ রাঙানো হত। এখন যদিও মুখোশ শিল্পীরা বাজার চলতি রাসায়নিক রঙই বেছে নিয়েছেন। উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর মিলিয়ে প্রায় ২৫০ জন শিল্পী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।

কেন আসবেন এখানে?

Photo of দিনাজপুর জেলার কুশমান্ডি গ্রামটি সত্যিই বড় অন্যরকমের সুন্দর ! 3/7 by Doyel Banerjee

শিল্পীদের হাতের কাজ নিজে চোখে দেখতে পাবেন। মুখোশ ছাড়াও টুকটাক কাঠের খেলনা কিনতে পারবেন। গ্রাম হিসাবে মহিষবাথান বেশ সুন্দর। কাছেই রয়েছে সেন রাজাদের আমলের প্রত্নস্থল বাণগড়।

Photo of দিনাজপুর জেলার কুশমান্ডি গ্রামটি সত্যিই বড় অন্যরকমের সুন্দর ! 4/7 by Doyel Banerjee

কাছাকাছির মধ্যে মহিপাল দীঘি আর এক ভাঙা নীল কুঠিও দেখে আসতে পারেন। এখানকার লোককথা বলে যে পাণ্ডবরা তাঁদের বনবাসের সময় অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন শমী বা শ্যাওড়া গাছে। সেই গাছ এখানে আছে। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন এখানেই লুকনো ছিল অস্ত্র।

শীতকালে গেলে ঘুরে আসতে পারেন কুলিক বার্ড স্যাংচুয়ারি। মহিষবাথান থেকে কুলিকের দূরত্ব মাত্র ৩৫ কিলোমিটার।

Photo of দিনাজপুর জেলার কুশমান্ডি গ্রামটি সত্যিই বড় অন্যরকমের সুন্দর ! 5/7 by Doyel Banerjee

কীভাবে যাবেন

Photo of দিনাজপুর জেলার কুশমান্ডি গ্রামটি সত্যিই বড় অন্যরকমের সুন্দর ! 6/7 by Doyel Banerjee

ট্রেনে করে কালিয়াগঞ্জ আসতে পারেন। সেখান থেকে মহিষবাথান আসতে হবে। চাইলে মালদা থেকেও আসা যায়।

কোথায় থাকবেন?

Photo of দিনাজপুর জেলার কুশমান্ডি গ্রামটি সত্যিই বড় অন্যরকমের সুন্দর ! 7/7 by Doyel Banerjee

মালদা ও কালিয়াগঞ্জে ছোট বড় প্রচুর হোটেল আছে। মহিষবাথানে থাকতে গেলে মহিষবাথান গ্রামীণ হস্তশিল্প সমবায় সমিতির অতিথিশালায় থাকতে পারেন।

নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।

বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।

Further Reads