পাহাড় ভ্রমণের মধ্যে যেমন একটা অ্যাডভেঞ্চার রয়েছে, অন্যদিকে সমুদ্র দর্শনের মধ্যে রয়েছে গভীর প্রশান্তি। সমুদ্রের উন্মাদনা, বালিয়াড়ি পথ , মাঝিদের কর্মব্যাস্ততা, পালতোলা নৌকার আনাগোনা, উপকূলীয় অঞ্চলের জীবনকাহিনি দর্শনের এর জন্য সর্বোপরি মনের মানুষের সাথে নিরিবিলিতে একান্তে ক্ষনিকের ছুটি কাটাতে পৌঁছে যান জুনপুটে।
অবস্থান - এই শান্ত, নির্জন এবং পর্যটকদের ভিড় শূন্য সামুদ্রিক ভ্রমণস্থানটি দীঘা শহর থেকে ৪০ কিমি অদূরে অবস্থিত।
জুনপুটে ভ্রমণ সংক্রান্ত কিছু তথ্য
এই অসাধারণ ভ্রমণস্থানটি পর্যটনসুলভ হওয়া সত্ত্বেও পর্যটকদের নজরাভুক্ত হতে পারেনি। এখানে সমুদ্র বেশ শান্ত এবং সমুদ্রতটে নানান অজানা পাখিদের দেখা মেলে। এখানকার মানুষদের প্রধান জীবিকা হল - মাছ চাষ, খামার এবং পশু পালন। এছাড়া জলজ প্রাণীদের রিসার্চ এর জন্য এখানে সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইন্ডাস্ট্রিও রয়েছে।
কী কী করবেন?
১. সমুদ্র এবং সামুদ্রিক পরিবেশের সৌন্দর্যকে উপভোগ করুন।
২. প্রিয় মানুষের সাথে খোশমেজাজে গল্প করতে করতে সমুদ্র বিচ ঘুরে নিন।এখানে অনেক লাল কাঁকড়ার দর্শন পাবেন।
৩. স্থানীয় মানুষদের থেকে মাছ চাষের পদ্ধতিগুলি শিখে নিতে পারেন।
৪. সমুদ্রতটে অনেক প্রজাতির পাখি দেখা পাবেন। চাইলে এই পাখিগুলির সঙ্গে আলাপচারিতা সেরে ফেলতে পারেন।
কোথায় থাকবেন?
জুনপুটে রাত্রিবাসের জন্য জুনপুট রিসর্টে রাত্রিবাস করতে পারেন। এই রিসর্টটি জুনপুট বাজার থেকে ১কিমি অদূরে অবস্থিত।
খরচ - জুনপুট রিসোর্টে রাত্রিবাসের খরচ -১১০০ টাকার মতো + ট্যাক্স।
এই রিসোর্টে ঘর বুকিং করতে হলে -৯৮৩১২৭৬৬৫৬ / ৯৮৩১১৬৭৫৩৭ এই নম্বরে ফোন করতে পারেন ।
• কলকাতা থেকে ভোর ভোর বেরিয়ে একটা গোটা দিন জুনপুটে কাটিয়ে সেই দিনই ফিরে আসতে পারেন।
কখন যাবেন?
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাসটি জুনপুট ভ্রমণের জন্য আদৰ্শ।
কীভাবে যাবেন?
ট্রেনে - হাওড়া থেকে দীঘাগামী ট্রেন ধরে পৌঁছে যান কাঁথি। স্টেশন থেকে টোটো বা অটো ধরে পৌঁছে যেতে পারেন জুনপুট।
সড়কপথে - কলকাতা থেকে গাড়ি ভাড়া করে ১৫৬ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন জুনপুট।