গল্প বা সিনেমায় অনেক রোমাঞ্চকর অভিযানের কথা আমরা পড়ি বা দেখে থাকি। তবে বাস্তবেও কেউ কেউ আছেন যারা জীবনের পরোয়া না করে বেরিয়ে পড়েন অজানার উদ্দেশ্যে। এরকম অনেক মাও আছেন যারা নিজেদের শখ পূর্ণ করতে নানা অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গী হন। কিন্তু এরকম মায়ের কথা শুনেছেন কি, যিনি কাঁধে ঝোলা আর কোলে এক ছোট্ট শিশুকে নিয়ে চষে বেড়ান গোটা দুনিয়া?
না শুনে থাকলে আপনাদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিচ্ছি ডিনাজ রাইসিঙ্ঘানির সঙ্গে। বছর খানেক আগেই ইউরোপ ট্রিপ সেরে ফিরেছেন ডিনাজ। সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট্ট মেয়ে আরিয়ানা। ডিনাজের ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে রয়েছে বেরানোর প্রচুর ছবি। আর সেই সব ছবি অনুপ্রেরণা দেয় সেই সব মায়েদের যারা সন্তানের দেখভালের জন্য বাড়ির বাইরে যাওয়া প্রায় ভুলেই গিয়েছেন।
ডিনাজকে তাঁর এক বছরের শিশুকন্যা কোলে ঘুরতে দেখে এটা বেশ বোঝা যাচ্ছে যে মায়েদের কাছে অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণের এক নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে।
ডিনাজ এক সেনা অফিসারের স্ত্রী এবং ২০১৫ সালে তাঁদের মেয়ে আরিয়ান্নার জন্ম হয়।
মেয়ের জন্মের প্রথম বছরেই এই দম্পতি ঠিক করেছিলেন যে তাঁরা আরিয়ান্নাকে নিয়ে বেড়াতে জাবেন।মেয়ের যখন ৭ মাস বয়স তখন তাঁরা ভুটানে যান। মেয়েকে পিঠে বেঁধেই ডিনাজ পৌঁছে যান টাইগার নেস্ট গুম্ফায়। যেখানে যাওয়া ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে একটা স্বপ্নের মতো।
এর পরে তালিকায় ছিল একটা লম্বা ইউরোপ ট্রিপ। পরিকল্পনা ছিল দিল্লি থেকে ইস্তানবুল, স্টকহোম, হেলসিঙ্কি,অসলো, কোপেনহেগেন, প্যারিস, টিউবিনজেন ও বার্লিন যাওয়ার।
মেয়ের দু' বছর হওয়ার আগেই এই ট্রিপ সম্পূর্ণ করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। ব্যাগপ্যাক নিয়ে খুব সস্তায় এই ট্রিপ তাঁরা করতে চেয়েছিলেন। ইউরোরেলের টিকিট নিয়ে গণ পরিবহণ ব্যবহার করেই ইউরোপ ঘুরেছেন ডিনাজ ও তাঁর পরিবার।
ডিনাজ ও তাঁর স্বামী হোস্টেলিং ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির আজীবন মেম্বার। মেয়ের সঙ্গে হস্টেলে থাকার একটা অভিজ্ঞতা হোক সেটা তাঁরা চাইছিলেন।
ইউরোপ ট্রিপের কিছুদিনের মধ্যেই ডিনাজের স্বামীকে কাজে যোগ দিতে হয়। তবে মা মেয়ে তাঁদের বেরানো শেষ করে। যেমনটা প্ল্যান ছিল ঠিক তেমনটাই হয়।
ট্রিপের শেষ পর্যায়ে ডিনাজ ও আরিয়ান্না ঘুরে বেরিয়েছে জার্মানির কিছু শহর। যার মধ্যে ছিল হামবুর্গ, বার্লিন, কোলোন, ফ্রাঙ্কফুর্ট। বেশিরভাগটাই আরিয়ান্নাকে স্ট্রোলারে বসিয়ে পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন ডিনাজ।
ডিনাজ ও তাঁর মেয়ে হস্টেলের বাঙ্ক বিছানায় ভালই মানিয়ে নিয়েছিল।
ডিনাজ বেশিরভাগ জায়গাতেই পরিছন্ন রান্নাঘর পেয়েছেন। ফলে নিজের ও মেয়ের জন্য সুস্বাদু খাবার বানিয়ে নিতে পেরেছেন। স্ট্রোলারে মিষ্টি আরিয়ান্নাকে দেখে অনেক স্থানীয় মানুষ যেচেই আলাপ জমিয়েছে।
ডিনাজ মনে করেন যে মাতৃত্বের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ানো যেন বন্ধ না হয়। ডিনাজের ছবিগুলো দেখে মনে হয় কীভাবে তাঁরা উপভোগ করেছেন এই ট্রিপ।
ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ঘুরলে এই বিশ্বের বিভিন্নতা সম্পর্কে তার জ্ঞান বাড়ে। কত রকমের খাবার, দৃশ্য, বর্ণ, গন্ধ সম্পর্কে সে অবহিত হয়। ডিনাজ পরামর্শ দিয়েছেন সব মায়েদেরই সময় পেলে সন্তানের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া উচিত।
ডিনাজের অন্যান্য ছবি দেখতে ক্লিক করুন এখানে @deez_dairies।
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।
(এটি একটি অনুবাদ করা আর্টিকেল। মূল প্রবন্ধ পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।)