উত্তরাখণ্ড রাজ্যটিকে এককথায় রূপকথার রাজ্য বলা যেতেই পারে। তুষারশুভ্র হিমালয় থেকে চঞ্চলা নদী ইত্যাদির সমন্বয়ে প্রকৃতির মধ্যে একটা সিন্গ্ধতা লক্ষ করা যায়। এই উত্তরাখণ্ডের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হল গরতঙ্গ ব্রিজ।
গরতঙ্গ ব্রিজ কী?
উত্তরকাশী জেলার গাড়োয়াল হিমালয়ের নেলং ভ্যালি অঞ্চলে অবস্থিত কাঠের তৈরি স্কাইওয়াক ব্রিজের অপর নাম হলো গরতঙ্গ ব্রিজ। চলুন একবার এই ব্রিজের প্রাচীন ইতিহাসটা জেনে নেওয়া নেওয়া যাক। প্রায় ১১,০০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত এই ব্রিজটি আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে পেশোয়ারের পাঠানরা নির্মাণ করেন। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী গঙ্গোত্রী ন্যাশনাল পার্কের অন্তর্গত এই ব্রিজটি প্রায় ১৩৬ মিটার লম্বা এবং ১.৮ মিটার চওড়া। শুধুমাত্র বাণিজ্যিক কারণেই এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। একসময় ভারত এবং তিব্বতের বাণিজ্যর মুখ্য পথ হিসেবে এই গরতঙ্গ ব্রিজকেই বেছে নেওয়া হতো। তবে ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের পর এই ব্রিজকে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বর্তমানে যাতায়াতের জন্য এই গরতঙ্গ ব্রিজ পর্যটকদের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। উত্তরকাশীর ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ময়ূর দীক্ষিতের মতে, এই ব্রিজের পুনঃনির্মাণের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা। তবে তিনি আশাবাদী এই গরতঙ্গ ব্রিজের কারণেই উত্তরাখন্ডে এখন প্রচুর পর্যটকের সমাগম হবে। ভ্রমণকালে উত্তরাখন্ড সরকার কর্তৃপক্ষ কয়েকটি সুরক্ষা বিধির প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখছেন -
১. একই সময়ে এই ব্রিজে ১০জনের বেশি মানুষের প্রবেশ নিষেধ।এছাড়াও এই ১০জন মানুষের মধ্যেও ১মিটারের দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন।
২. ব্রিজ ভ্রমণের সময় ডান্সসিং, জাম্পিং, এবং মদ্যপান করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন সরকার কর্তৃপক্ষ।
৩. এছাড়াও করোনা বিধি মেনে চলা অবশ্যই প্রয়োজন।
উত্তরাখণ্ড সরকার কর্তৃপক্ষ আশাবাদী যে সুদূর ভবিষ্যতে এই ব্রিজটি পর্যটনের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারবে।