বহুদিন ধরেই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দর্শনের একটা সুপ্ত বাসনা ছিল। তাই গুজরাটে থেকে বিশ্বের উচ্চতম স্ট্যাচু দর্শনের সুযোগটা মিস করা বোকামি হবে। সেই কারণেই ছুটির দিন দেখে সকাল সকাল আমেদাবাদ থেকে গাড়ি সহযোগে বেরিয়ে পড়লাম স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দর্শনের উদ্দেশ্যে। প্রায় ৪ ঘণ্টা দূরত্ব অতিক্রম করে পৌঁছে গেলাম স্ট্যাচু অফ ইউনিটি।
অবস্থান
আমেদাবাদ শহর থেকে প্রায় ২০০ কিমি অদূরে কেভাদিয়া শহরে নর্মদা নদী তীরে অবস্থিত বিশ্বের উচ্চতম স্ট্যাচু - স্ট্যাচু অফ ইউনিটি।
স্ট্যাচু অফ ইউনিটি
প্রকৃতপক্ষে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি হল স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ভারতের প্রথম উপ- প্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি। প্রায় ১৮২ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন এই স্ট্যাচু দর্শনের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন প্রচুর পর্যটকদের সমাগম হয়।
কী কী দেখবেন?
১. স্ট্যাচু অফ ইউনিটির পাদদেশ অঞ্চলে প্রায় ৪,৬৪৭ বর্গ মিটার অঞ্চল জুড়ে একটি মিউজিয়াম রয়েছে। এই মিউজিয়ামে আপনি সর্দার প্যাটেলের জীবন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান সম্পর্কে বিশদে সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। এছাড়াও অডিও- ভিজ্যুয়াল শো এর মাধ্যমে গুজরাটের স্থানীয় মানুষের জীবনযাপন, সংস্কৃতি, সর্দার সরোবর ড্যাম ইত্যাদি সম্পর্কে অনেক জ্ঞান ও লাভ করতে পারেন।
২. লিফটে চেপে স্ট্যাচুর উপরের অংশে ভ্রমণ করে পাখীর চোখের ন্যায় সর্দার সরোবর ড্যাম সহ প্রকৃতির একটা সুন্দর দৃশ্য- এর সাক্ষী থাকতে পারেন।
৩. এছাড়াও সন্ধেবেলায় লেজার শো দেখে মুগ্ধ হতে পারেন।
টিকিট - বর্তমানে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দর্শনের জন্য অনলাইনেই টিকিট বুক করতে হবে।
•শুধুমাত্র মিউজিয়াম এবং স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দর্শনের জন্য টিকিট ভাড়া - ১৫০ টাকা
• মিউজিয়াম, সম্পূর্ণ স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দর্শন এবং লিফটে চেপে উপরে ভ্রমণ করার জন্য টিকিট ভাড়া - ৩৮০ টাকা।
সময়সীমা
সোমবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৭.৩০টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য স্ট্যাচু অফ ইউনিটি খোলা আছে।
প্রথমদিন স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ছাড়াও দেখে নিলাম ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স, সর্দার সরোবর ড্যাম এবং জঙ্গল সাফারি। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সেরে একটু রেস্ট নিয়ে আবার ও পৌঁছে গেলাম স্ট্যাচু অফ ইউনিটি লেজার শো দর্শনের উদ্দেশ্যে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, আপনি যখন অনলাইনে টিকিট কাটবেন তখন ওয়েবপেজে একটি অপশন আসবে আপনি লেজার শো দেখতে চান কিনা। আপনি যদি সেই অপশনে ইতিবাচক ক্লিক করেন তাহলে সকালের দিকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দর্শন করে হোটেলে ফিরে এলেও বিকেলে লেজার শো দেখার অনুমতি পেয়ে যাবেন। আর রাতের অন্ধকারে ২৫ মিনিটের লেজার শো টি আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
কোথায় থাকবেন?
এখানে রাত্রিবাসের জন্য হাতে গোনা কয়েকটি হোটেলই উপলব্ধ আছে। এগুলির মধ্যে টেন্ট সিটি, শ্রেষ্ঠ ভারত ভ্রমণ ( রামাডা ) ইত্যাদি।
পারিপার্শ্বিক দর্শনীয় স্থান
স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ছাড়াও কেভাদিয়া শহরের অন্যান্য ভ্রমণ স্থানগুলি হলো - আরোগ্য বন, বাটারফ্লাই গার্ডেন, ক্যাকটাস গার্ডেন, ইত্যাদি।
আরও তথ্য জানতে হলে statueofunity.in এই ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।