আপনি কি একদিনের জন্য প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করতে চান? তাহলে পৌঁছে যেতে পারেন ঘাটশিলা । কলকাতা থেকে খুব কাছেই অবস্থিত এই ছোট্ট শহরের বিশুদ্ধ বাতাসে নবজীবন ফিরে পেতে পারেন। এখানে রাত্রিবাসের ব্যাবস্থা সম্পর্কে তেমন কোনও অভিজ্ঞতা না থাকায় আমরা একই দিনে ঘাটশিলা ভ্রমণ করে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই । তবে আপনি যদি সত্যিই প্রকৃতির পূজারী হন এবং ফোটোগ্রাফি আপনার প্যাশন হলে এখানে রাত্রিবাস করতে কিন্ত ভুলবেন না। বর্তমানে এখানে বেশ অনেকগুলি হোটেল রয়েছে। ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায়কে চিনতে এবং প্রকৃতির কোলে শান্তিতে কিছু মুহূর্ত কাটানোর জন্য এই স্থানটি এক্কেবারে আদৰ্শ এমনটা বলাই যায়।
কীভাবে যাবেন:
সড়কপথে এবং রেলপথে খুব সহজেই ঘাটশিলা পৌঁছে যেতে পারেন। কলকাতা থেকে ঘাটশিলা ভ্রমণের জন্য আমি রেলপথকেই বেছে নিয়েছিলাম । সকালে হাওড়া থেকে আমি ৬.৫৫-এর ইস্পাত এক্সপ্রেসে চেপে ৯.৫১ এ ঘাটশিলা পৌঁছে যাই। ফেরার পথেও এই ট্রেনটি চেপেই কলকাতা ফিরি । ঘাটশিলা থেকে ইস্পাত এক্সপ্রেস দুপুর ৩.৩০ নাগাদ ছাড়ে।
কীভাবে ঘাটশিলা ঘুরলাম:
স্টেশন থেকে বহু অটো এবং গাড়ি উপলব্ধ আছে। সারাদিনের জন্য যে কোনও গাড়ি ভাড়া করে ঘাটশিলার দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরে নিতে পারেন। তবে আমি আগে থেকেই গুগলের সাহায্য নিয়ে কলকাতায় বসে অটো বুক করে নিয়েছিলাম । আপনিও গুগলে একটু সার্চ করলে ঘাটশিলার অটো বা গাড়ির ড্রাইভারের ফোন নম্বর পেয়ে যাবেন এবং আগে থেকে বুক করে ভ্রমণের প্ল্যানটা রেডি করে নিতে পারেন ।
দর্শনীয় স্থান:
ঘাটশিলা শহরের প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলি হল - ধারাগিরি জলপ্রপাত, গৌরী কুঞ্জ, ফুলদুংড়ি পাহাড় এবং বুরুদিহ লেক ।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, ঘাটশিলা ভ্রমণকালীন সময়ে বুরুদিহ লেক পরিদর্শন করতে কিন্তু একদম ভুলবেন না। ধারাগিরি জলপ্রপাত এই লেকের খুব কাছেই অবস্থিত, তবে জলপ্রপাত দর্শনের জন্য কিছুটা ট্রেক করে আপনাকে পৌঁছতে হবে ।
খাবার দাবার:
ঘাটশিলা স্টেশনের কাছেই বেশ অনেকগুলি রেস্তোরাঁ রয়েছে এখানে নিরামিষ বা আমিষ দুই ধরণের খাদ্য উপলব্ধ আছে। একজন মানুষের খাবারের খরচ পড়বে ১২০ টাকার মতো ।
শান্ত নির্জন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে একান্তে উপভোগ করা এবং ঝাড়খণ্ডের লুক্কায়িত সম্পদ পরিদর্শনের জন্য আপনাকে আসতেই হবে ঘাটশিলা।