ভারতের সংস্কৃতি এত সমৃদ্ধ যে এক জীবনে তার সন্ধান পাওয়া সম্ভব নয়। নানা রকমের পোশাক ও খাবারের সম্ভার যেমন আছে, তার সঙ্গে আছে ভিন্ন প্রকৃতির বেড়ানোর জায়গা। এই দেশে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রের অভাব নেই। কিন্তু তার সঙ্গে রয়েছে এমন কয়েকটি অজানা স্থান যেগুলো একেকটা লুকনো রত্নের মতো।
বিভিন্ন রাজ্য এখন একটু একটু করে কোভিড সংক্রান্ত কড়াকড়ি তুলে নিচ্ছে। দেশের বাইরে এখন সেভাবে যাওয়ার উপায় নেই বলেই পর্যটকরা বেছে নিচ্ছেন ভারতেরই নানা দ্রষ্টব্য স্থান। চেনা জায়গায় গিয়ে ভিড়ের গুঁতো খাওয়ার চেয়ে অচেনা জায়গায় গিয়ে একটু নিরিবিলি আর শান্তিতে থাকতে চাইছেন অনেকেই। রইল সেরকমই কয়েকটা জায়গার সন্ধান।
আপনি কি স্কটল্যান্ড যাওয়ার কথা ভাবছিলেন? এর চেয়ে কম খরচে রয়েছে সবুজের গালিচা বিছানো জিরো উপত্যকা। যা কিনা স্কটল্যান্ডের চেয়েও সুন্দর। এখানে থাকে আপাতানি উপজাতি। এঁদের সংস্কৃতি, এখানকার দুর্দান্ত আবহাওয়া আর চোখ জুড়ানো প্রকৃতি সব মিলিয়ে একবার যাওয়া যেতেই পারে।
আপনি কি স্কটল্যান্ড যাওয়ার কথা ভাবছিলেন? এর চেয়ে কম খরচে রয়েছে সবুজের গালিচা বিছানো জিরো উপত্যকা। যা কিনা স্কটল্যান্ডের চেয়েও সুন্দর। এখানে থাকে আপাতানি উপজাতি। এঁদের সংস্কৃতি, এখানকার দুর্দান্ত আবহাওয়া আর চোখ জুড়ানো প্রকৃতি সব মিলিয়ে একবার যাওয়া যেতেই পারে।
রাজস্থানের জাওয়াই নদীর নামে এই জায়গার নাম রাখা হয়েছে। প্রকৃতির শোভা আর চারদিকে গ্রানাইটের ল্যান্ডস্কেপ, সব মিলিয়ে জাওয়াই খুব সুন্দর। এখানে একটি লেপার্ড সাফারি হয়, সেটা একেবারেই মিস করা চলবে না। চিতাবাঘ ছাড়াও এখানে আছে নীলগাই, ভাল্লুক, নেকড়ে, হায়েনা ও চিঙ্কারা হরিণ। শীতের সময় এখানে আসে অসংখ্য পরিযায়ী পাখি।
কেরালার দক্ষিণে অবস্থিত ভারকালার শান্ত পরিবেশ এবং প্রাণবন্ত প্রশান্ত সৈকত দেখার মতো। চারদিকে লাল বেলেপাথর চিটচিটে এবং সবুজের মখমল দেখার মতো একটি দৃশ্য। এখানে রয়েছে কালো বালির সমুদ্র সৈকত রয়েছে যা এই অঞ্চলের মধ্যে একটি লুকানো রত্ন। এটি অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদেরও বেশ ভালো লাগবে কারণ এখানে প্যারাগ্লাইডিং, রাফটিং এবং প্যারাসেইলিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার করা যায়। ২০০০ বছরের পুরাতন জনার্দন স্বামী মন্দির এবং শিবগিরি মঠের মতো তীর্থস্থানগুলিতেও ঘুরে আসা যায়।
হিমালয়ের কোলে একটি স্বল্পপরিচিত গ্রাম হল চৌকরি। এখান থেকে নন্দা দেবী, পঞ্চচুলি, এবং নন্দ কোট শৃঙ্গ দেখা যায়। এটি বহু হিন্দু মন্দির আছে। রয়েছে মনোরম এবং প্রশান্ত পরিবেশও। অবসর সময় কাটানোর জন্য আদর্শ এই জায়গা।
পুনা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এক ময়ূর স্যাংচুয়ারি। এই গ্রামের নাম থেকেই বোঝা যায় যে এখানে রয়েছে প্রচুর নৃত্যরত ময়ূর আর তেঁতুল গাছ। কথিত আছে পেশোয়াদের রাজত্বকালে এই তেঁতুল গাছ এখানে পোঁতা হয়েছিল। আর এই গাছের আকর্ষণেই ময়ূর এসে উপ্সথিত হয়। গরুর গাড়ি করে এখানে গ্রাম ঘুরে দেখা যায়। পাওয়া যাবে তাজা জৈব সব্জির স্বাদও।
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।