"আমরা নূতন যৌবনেরই দূত / আমরা চঞ্চল, আমরা অদ্ভুত"
কথাটি নিশ্চই হাজারবার শুনেছেন। আবার বলছি। যৌবন-ই জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। পয়সা নেই, তাই দায়িত্বের দায়ভারও নেই। তার মানেই রয়েছে অনেকখানি স্বাধীনতা। যখন যেখানে খুশি যাওয়ার, যা ইচ্ছে করার অবাধ এক স্বাধীনতা।
আর যখন এই সত্যিটা উপলব্ধি করবেন, তখন যাতে কোথায় যাবেন তা নিয়ে বেশি ভাবতে না হয়, তাই আপনার জন্যে নিয়ে এসেছি ১০টি খুব সুলভ শহরের সন্ধান নিয়ে, যেখানে আপনি পাবেন কম টাকায় থাকার জায়গা আর সুলভ জনসংযোগ ব্যবস্থার সুবিধা। প্লেনের টিকিটটা অবশ্য এর মধ্যে ধরা নেই। আশা করি যাত্রাটুকু করার মতো এয়ার মাইলস আছে আপনার কাছে। কারণ একবার পৌঁছাতে পারলে, আর সেরকম কোনও খরচই নেই।
১. হানোই
যাদের খাবার আর দেশবিদেশের সংস্কৃতি ভাল লাগে তাদের জন্যে হানোই যেন স্বর্গ। এখানে তথাকথিত সাইট সিয়িং-এর জন্য সেরকম জায়গা নেই। কিন্তু ফরাসি ও চৈনিক ইতিহাসে মোড়া এই শহরের রাস্তায় রং- বেরঙের স্কুটারের ছুটে যাওয়া দেখুন, দেখুন প্রাতঃরাশে নুডলস খাওয়ার জন্য স্থানীয়দের ভিড়। চিরাচরিত এই শহরের প্রাণস্পন্দন অনুভব করলেই ভরে উঠবে আপনার পর্যটক মন।
২. পোখারা
বরফে মোড়া শ্বেতশুভ্র পর্বতচূড়ার পাশাপাশি আলসে আমেজ, এডভেঞ্চারের অনেক সুযোগ থেকে একবারে নূন্যতম দামে খাবার আর ড্রিংকস, সবই পাবেন পোখারায়। শান্তির প্রতিচ্ছবি লেক পোখারায় আয়নার মতো ফুটে ওঠে হিমালয়ের ছবি, তার উপর রঙ চঙে প্যাডেল বোটে নিশ্চিন্ত মনে কাটান ছুটি। অন্নপূর্ণা রেঞ্জের বিখ্যাত অনেকগুলো ট্রেক ছাড়াও পোখারা প্যারাগ্লাইডিং করার জন্য পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জায়গা বলা যায়।
৩. কায়রো
ধোঁয়াশা, হট্টগোল আর ভিড়ভাট্টার আড়ালে কায়রোর আসল চেহারা দেখলে আপনি এই শহরের প্রেমে পড়তে বাধ্য। এমন কিছু নেই যা এই শহরে নেই - সুবিশাল এলাকা, অতুলনীয় মসজিদ, অসাধারণ রাজপ্রাসাদ, আর পটভূমিতে রহস্যময়ী গিজার পিরামিড। আর বাজেটে ঘোরার জন্যে কায়রো একদম আদর্শ।
৪. আনজুনা
আপনার যা দরকার, গোয়া আপনার জন্য তাই হতে পারে। আপনার পছন্দ মতোই আনজুনা হয়ে উঠতে পারে প্রাণবন্ত কিংবা অলস। মনের মতো ছুটিতে আপনি সারা দিন বিয়ারের বোতল হাতে যে কোনও বিচে একটা লাউঞ্জ চেয়ারে বসে সারাদিন কাটিয়ে দিতে পারেন, রাতে যেতে পারেন বিচ রেভে। আর খ্রিস্টমাস বা নববর্ষের সময় এখানে থাকলে ঝলমলে রৌদ্রোজ্জ্বল বিচ আর সি ফুড ছাড়াও পাবেন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ই.ডি.এম উৎসবে যাওয়ার সুযোগ।
৫. আম্মান
সারা বিশ্বের মধ্যে জর্ডান সম্প্রতি খুব পরিচিতি লাভ করেছে। পেট্রা, ওয়াদিরাম বা ডেড সির মতো বিখ্যাত না হলেও মধ্যপ্রাচ্যকে সম্পূর্ণরূপে অনুভব করতে গেলে আম্মান যেতেই হয়। পাবেন রোমান সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ, অসংখ্য কফিহাউস এবং সুক।
৬. চিয়াং মাই, থাইল্যান্ড
সদা জনপ্রিয় ব্যাংককের থেকে চিয়াং মাইয়ের পরিবেশ বেশ আলাদা কিন্তু খুবই আকর্ষণীয়। শহুরে ব্যস্ততা থেকে দূরে, শীতল আবহাওয়ায় আর পরিষ্কার পরিবেশে শান্তিতে কয়েকদিন কাটানোর জন্য আদর্শ জায়গা বলতে হবে। পায়ে হেঁটেই আপনি শহরের সুন্দর ডাউনটাউন এলাকাটা ঘুরে আসতে পারেন। আর স্বল্পদৈঘ্যের স্কুটার রাইড আপনাকে পৌঁছে দেবে গ্রামাঞ্চলে, যেখানে পাবেন অনেক নবীন জলপ্রপাত।
৭. কলম্বো
চোখের সামনেই লুকিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ১৩৪০ কিলোমিটার লম্বা দুর্দান্ত উপকূলরেখা আর পৃথিবীর অন্যতম সুলভ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ লোকেদের ভ্রমণ প্ল্যানে শ্রীলঙ্কা কেন থাকে না সেটাই আশ্চর্যের। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে পর্তুগিজ ইতিহাসের নিদর্শন সুস্পষ্ট, পাবেন অনেক ঐতিহাসিক ঘরবাড়ি, আধুনিক রেস্টুরেন্টে, বিভিন্ন গ্যালারি এবং মিউজিয়াম।
৮. কুটা
বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলগুলো থেকে দূরে থাকলে কিন্তু কুটায় সুলভে থাকার আর ঘোরার জন্যে আছে প্রচুর সুযোগ। বিচে সময় কাটাতে পারেন, করতে পারেন সার্ফিং। কিন্তু একটু সাবধান, প্রাণবন্ত এই শহরের সস্তা ক্যাফে এবং কোলাহলপূর্ণ ক্লাবগুলো কিন্তু সবার জন্যে নয়।
৯. মারাক্কেশ
রহস্যময়ী কিন্তু এখন অচেনা মারাক্কেশে একটা দিন কাটালেই শহরটি আপনার মন জয় করে নেবে। আপনি চাইবেন আরো বেশি করে হারিয়ে যেতে এখানে। অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন, যেমন অষ্টাদশ শতাব্দীতে স্থাপিত পুরনো স্থাপত্যের উপরে বসে ককটেল খেতে পারেন, ম্যাজিকের দোকানে শিখতে পারেন দু একটা জাদু খেলা, করতে পারেন হেনার ট্যাটু বা সারারাত ধরে নাচতেও পারেন।
১০. পেনম পেন
কাম্বোডিয়ার এই রাজধানী খুব আকর্ষণীয় এবং ভিন্ন স্বাদের। পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর পাশেই ঝাঁ চকচকে আধুনিক বাড়ি, কোথাও যেন একটা ওয়াইল্ড ওয়েস্টের স্বাদ। আর আপনার কানে আসবে নানা ধরণের আওয়াজ - হাসিখুশি স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনিক কলরব, মোটরবাইক গুলির পাশ কাটিয়ে বেরোনোর আওয়াজ বা ভিড়ে ঠাসা পানশালা গুলোর হট্টগোল। যাই হোক, যাওয়ার সময় আপনার মনের একটা অংশকে পেনম পেনে রেখে দিয়ে যেতে বাধ্য হবেন।
দৈনিক হোস্টেল খরচ : বেড পিছু ২০০ থেকে ৬০০ টাকা
একবেলা খাওয়ার খরচ : ১৩০ থেকে ৪৫০ টাকা। ( ফ, এখানকার বিখ্যাত নুডলস সুপ, বেশ সুলভ, পাবেন সব জায়গায়, বেশ উপাদেয় ও বটে।) সঙ্গে রাস্তার বিভিন্ন দোকানে পাবেন বিশেষ বিশেষ স্থানীয় খাবার। একটু বেশি দাম দিলে পাশ্চাত্য খাবারও পাবেন।
কী কী করবেন : থাং লং-এ অবস্থিত অত্যন্ত সুন্দর ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ইম্পিরিয়াল সিটাডেল থেকে ঘুরে আসুন, ওয়াটার পাপেট থিয়েটারে গিয়ে দেখে আসুন ভিয়েতনামী জল পুতুলের খেলা, গাড়ি চালিয়ে ঘুরে আসুন পঞ্চদশ শতাব্দীতে তৈরি অদ্ভুত মন্দিরপ্রাঙ্গন পারফিউম প্যাগোডা থেকে, হোয়ান কিয়েম লেকের ধারে শিখতে পারেন তাই চি।
দৈনিক হোস্টেল খরচ : বেড পিছু ২০০ থেকে ৬০০ টাকা
একবেলা খাওয়ার খরচ : ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা (বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টে পাবেন স্থানীয় এবং ভারতীয় খাবার, যা পাস্তা বা পিজ্জার থেকে বেশ সস্তা।)
কী কী করবেন : গোর্খা মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে গিয়ে দেখে নিন ইতিহাসের ঝলক, হিমালয়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখার জন্যে চলুন সারাংকোট গ্রামে, ফেওয়া তাল এবং সংলগ্ন জঙ্গলে পাখিদের দেখুন ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগোডা থেকে, দেবীস ফলস (ডেভিডস ফলস নামে পূর্বপরিচিত) গিয়ে কাটিয়ে আসুন কিছু সময় আর দেখুন কিভাবে এখানে ধাপে ধাপে জলপ্রপাতটি পাহাড়ি টানেল থেকে বেরিয়ে পড়ছে নিচের গুহামুখে।
দৈনিক হোস্টেল খরচ : বেড পিছু ২০০ থেকে ৭০০ টাকা
একবেলা খাওয়ার খরচ : ৪০ থেকে ৩০০ টাকা (কায়রোতে স্থানীয় খাবার দাবার খুবই কম দামে পাওয়া যায়। স্থানীয় রেস্টুরেন্টে বা রাস্তার স্টলে পাবেন খুব কম দামে দারুন সব খাবার)
কী কী করবেন : ইজিপ্টের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ গিজার পিরামিড দেখে আসুন, প্রাচীন যুগের জিনিসপত্র দেখতে চাইলে যেতে পারেন ইজিপশিয়ান জাদুঘরে, ঘন গালিচার মতন ঘাসের উপর ফোয়ারার মাঝে পিকনিক করতে পারেন আল-আজহার পার্কে, খান আল-খালিলি বাজারের রঙিন গলিগুলোর মধ্যেও ঘুরে বেড়াতে পারেন।
দৈনিক হোস্টেল খরচ : বেড পিছু ১০০ থেকে ৩০০ টাকা
একবেলা খাওয়ার খরচ : ১০০ থেকে ৪০০ টাকা (সি ফুড আর স্থানীয় মাদকজাতীয় পানীয় ফেনি নিয়ে একটা গোটা আহার দামি বা সস্তা দুই-ই হতে পারে, নির্ভর করবে আপনি কোথায় খাচ্ছেন তার উপরে)
কী কী করবেন : পুরনো গোয়ার বিভিন্ন চার্চে, দূর্গে, ছোট্ট ছোট্ট দোকানে পাবেন পর্তুগিজ সভ্যতার ছোঁয়া, প্রতি বুধবার আনজুনা বীচের ফ্লি মার্কেটে যেতে পারেন, পোন্ডা তালুকার সুগন্ধী মশলা খামারে ঘুরে আসতে পারেন হাতিদের সঙ্গে, পারবেন পেট পুরে খেতেও, আর পর্যটকদের পাগলামি এড়িয়ে চলতে চাইলে উত্তর গোয়ার মান্দ্রেম বিচে ছুটি কাটাতে পারেন অনায়াসে।
দৈনিক হোস্টেল খরচ : বেড পিছু ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা
একবেলা খাওয়ার খরচ : ২০০ থেকে ৭০০ টাকা (ফালাফেল আর হামাস খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারলে খরচ হবে নামমাত্র, তবে আলকোহল কিন্তু এখানে ভালই দামি)
কী কী করবেন : আম্মানের সর্বোচ্চ পাহাড় শৃঙ্গের উপর অবস্থিত সিটাডেল একটি প্রত্নতাত্ত্বিক আশ্চর্য, এখানে ঘুরতে ঘুরতে প্রাচীনকালের বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যেতেই পারেন, ফটোগ্রাফির শখ থাকলে সকাল সকাল চলে যান রোমান থিয়েটার - দ্বিতীয় শতাব্দীতে তৈরি এরম এক এম্ফিথিয়েটার যেখানে ৬০০০ মানুষ একসাথে বসতে পারে, জর্ডান মিউজিয়ামে গিয়ে দেখতে পারেন মানব সভ্যতার প্ৰাচীনতম (প্রায় ৮০০০ বছর পুরোনো) ম্যানেকুইন, দারাত আল ফানানের ছোট্ট কিন্তু অসাধারণ জাদুঘরে গিয়ে দেখতে পারেন সমসাময়িক আরব শিল্পকর্ম।
দৈনিক হোস্টেল খরচ : বেড পিছু ২৫০ থেকে ৭০০ টাকা
একবেলা খাওয়ার খরচ : ৯০ থেকে ৫০০ টাকা (এখানে রাস্তার বিভিন্ন দোকানে খাওয়াই ভালো, কারণ সুলভে খুব ভালো খাবার পাওয়া যায়। স্থানীয় রেস্টুরেন্টেও পাবেন আকর্ষণীয় বিভিন্ন অফার)
কী কী করবেন : ওয়াট ফ্রা সিং নামক সুবিশাল মন্দির চত্বরে গোটা দিন কাটাতে পারেন, এখানে বিভিন্ন কফির স্টল আর ম্যাসাজ করানোর জায়গাও আছে, লাননা ফোকলাইফ মিউজিয়ামে গিয়ে লাননার গ্রামীণ জীবনের প্রমাণ সাইজের নিদর্শন দেখতে পারেন, ওয়ারোরোটের পুরনো বাজারে গিয়ে সেখান থেকে কিনতে পারেন সুভেনিয়ার বা থাই গৃহস্থালীর বিভিন্ন জিনিস, আর সবশেষে চিয়াং মাই চিড়িয়াখানায় গিয়ে মুখোমুখি হতে পারেন বিশাল বিশাল পোকাদের সঙ্গে।
দৈনিক হোস্টেল খরচ : বেড পিছু ৫০০ থেকে ১৪০০ টাকা
একবেলা খাওয়ার খরচ : ১০০ থেকে ৫৫০ টাকা ( ভাত আর তরকারি বেশ সুলভে সবজায়গায় পাবেন। তবে খুব সুস্বাদু লায়ন বিয়ারটি আপনি অত সহজে নাও খুঁজে পেতে পারেন)
কী কী করবেন : গল ফেস গ্রিনে ঘুড়ি ওড়াতে পারেন বা আনমনে হেঁটে বেড়াতে পারেন, জাতীয় মিউজিয়ামে গিয়ে জেনে নিতে পারেন প্রাচীন শ্রীলঙ্কার ইতিহাস। পেট্টা বাজারে ঘুরে কিনে আনতে পারেন স্থানীয় মশলা বা শুকনো মাছ, আর বিশ্রাম নিতে পারেন বেইরা লেকের সবুজ জলরাশির পাশে।
দৈনিক হোস্টেল খরচ : বেড পিছু ৫৮০ থেকে ৮৫০ টাকা
একবেলা খাওয়ার খরচ : ১৩০ থেকে ৫০০ (সুলভে এবং সহজেই পাবেন ভাত, নুডলস বা চিকেনের ডিশ। পাশ্চাত্য খাবারও মোটামুটি ঠিক দামেই পাইয়া যায়)
কী কী করবেন : সার্ফবোর্ড ভাড়া করতে পারেন, বা কুটা বিচে সার্ফ করার ক্লাসও করতে পারবেন, ২০০২ সালে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে পারেন মেমোরিয়াল ওয়ালে গিয়ে, সূর্যোদয় দেখতে চাইলে ভোরবেলা হাইক করে চড়তে পারেন বাটুর পাহাড়, আর কুটা স্ট্রিটের বিভিন্ন খাবার যেমন নাসি গোরেং বা বীফ রেনডাং চেখে দেখতে পারেন কালিনারি ওয়াকে গিয়ে।
দৈনিক হোস্টেল খরচ : বেড পিছু ২৫০ থেকে ৭০০ টাকা
একবেলা খাওয়ার খরচ : ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা (বাজার এলাকার রাস্তার স্টল এবং রেস্টুরেন্টে পাবেন খাঁটি কিন্তু সুলভ খাবার। স্থানীয় ওয়াইনও বেশ ভাল এবং সাধ্যের মধ্যেই)
কী কী করবেন : দিন কাটান জেমা এল-ফনাতে, এই বিশাল উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে সারাদিন পশরা সাজিয়ে বসেন বিনোদনকারীরা, আর রাতে বসে বিরাট ফুড কোর্ট, ভিল ন্যুভেলের শিল্প প্রদর্শনী তে গিয়ে দেখতে পারেন বিভিন্ন সমসাময়িক শিল্পীর সৃষ্ট শিল্পকলা, পালমেরাই গিয়ে করতে পারেন মাউন্টেন বাইকিং, আর সবশেষে ট্র্যাডিশনাল হামামে গিয়ে করতে পারেন ম্যাসাজ, স্টিম বাথ বা স্পা।
দৈনিক হোস্টেল খরচ : বেড পিছু ২৭০ থেকে ৪০০ টাকা
একবেলা খাওয়ার খরচ : ১০০ থেকে ৬০০ টাকা (বেশ কিছু বাজেট রেস্টুরেন্টে স্থানীয় এবং পাশ্চাত্য খাবার পাবেন। তবে হ্যাপি পিৎজা খেতে কিন্তু ভুলবেন না, এটা সাধারণ পিজ্জার মতই, কিন্তু ওপরে দেওয়া থাকে ক্যানাবিজ, দাম যদিও একই।)
কী কী করবেন : ঐতিহ্যবাহী খমের স্থ্যাপত্যের নিদর্শন দেখতে চাইলে যান অসাধারণ সুন্দর রয়্যাল প্যালেসে, তুউল স্লেঙ মিউজিয়াম অফ জেনোসাইডাল ক্রাইমসে গিয়ে কাটাতে পারেন কিছু সময়, রাশিয়ান মার্কেটে কম দামে পেয়ে যান দারুন সব জামাকাপড় আর সুভেনিয়ার্স; আর কাম্বোডিয়ার রক্তাক্ত ইতিহাসের কথা মনে করে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে চাইলে যেতে পারেন কিলিং ফিল্ডস-এ।